চীনের শ্রেষ্ঠ শিক্ষকদের গল্প
শিক্ষক কু মনে করেন, গ্রামীণ বাচ্চাদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে চাইলে, ভালো করে লেখাপড়া করতে হবে। সেটি বাদ্যযন্ত্র শেখার চেয়ে আরও গুরুত্বপূর্ণ। তবে, বাদ্যযন্ত্র শেখা যেন বাচ্চাদের মনে একটি বীজ বপনের মতো, যা বাচ্চাদের মনকে সমৃদ্ধ করতে পারে।
শিক্ষক কু’র দৃষ্টিতে সংগীত যেন তারার মতো মনকে উজ্জ্বল করে। তারার আলো বাচ্চাদের মনকে ঝলঝল করতে সক্ষম।
শিক্ষক ওয়াং লি ছুনের গল্প
চীনের শানসি প্রদেশের আর্থ-বাণিজ্য স্কুলের শিক্ষক ওয়াং লি ছুন শ্রেষ্ঠ কারিগরি শিক্ষক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। নিজের অভিজ্ঞতা স্মরণ করে তিনি বলেন, “আমি নিজেই কারিগরি শিক্ষা গ্রহণ করার পর শিক্ষক হয়েছি। আজকে আবার কারিগরি শিক্ষক হিসেবে পুরস্কার লাভ করতে পেরেছি, যা আমার জন্য বেশ গর্বের ও উত্সাহব্যাঞ্জক ব্যাপার।”
শিক্ষক ওয়াং লি ছুনের অন্যান্য শিক্ষকদের সাথে কিছু পার্থক্য রয়েছে। তিনি শুধু শিক্ষক নন, বরং একজন পাচক, চীনের শ্রম পুরস্কার বিজয়ী, চীন সরকারের বিশেষ ভর্তুকি লাভকারী। গত ৩০ বছর ধরে তিনি দেশের কারিগরি শিক্ষা খাতে অবদান রেখে আসছেন। শানসি প্রদেশের বৈশিষ্ট্যপূর্ণ আঞ্চলিক খাবার ও ডিশের উন্নয়নে তিনি নিরলস প্রচেষ্টা চালান। তা ছাড়া, ধৈর্যের সাথে ছাত্রছাত্রীদের তিনি রান্না শেখান। তাঁর সহায়তায় অনেক শিক্ষার্থী দক্ষ পাচকে পরিণত হয়েছে।
রান্নার প্রতি তাঁর আগ্রহ সৃষ্টি সম্পর্কে তিনি বলেন, “ছোটবেলায় বাবা-মায়ের সাথে গ্রামে থাকতাম। সেই সময় আমরা ছিলাম গরীব। তাই, সুস্বাদু খাবার খাওয়ার সুযোগ খুবই কম পেতাম। ধীরে ধীরে বড় হই এবং রান্নার প্রতি আগ্রহ বাড়তে থাকে। তখন শুধু ভাবতাম যে, নিজে রান্না শিখলে সুস্বাদু খাবার বেশি খাওয়া যাবে। এ চিন্তা থেকেই আমার পাচকজীবনের শুরু।”
গত শতাব্দীর ৮০-র দশকে ২৪ বছর বয়সের ওয়াং লি ছুন শানসি প্রদেশের সবচেয়ে দক্ষ জুনিয়ার পাচকে পরিণত হন এবং প্রায় ১০ বছর পর তিনি শানসি প্রদেশের সবচেয়ে কম বয়সের সিনিয়র শেফে পরিণত হন। ১৯৯৩ সালের জুন মাসে তিনি শানসি প্রদেশের দক্ষ যুব শেফ প্রতিনিধি হিসেবে চীনের রান্নার প্রতিযোগিতায় অংশ নেন এবং চীনের শ্রেষ্ঠ শেফ পুরস্কারও লাভ করেন। বেইজিংয়ের গণমহাভবনে তিনি শ্রেষ্ঠ শ্রমিক হিসেবে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দদের সাথে দেখা করার সুযোগও পান।