চীনের উচ্চশিক্ষায় তথাকথিত অপরিচিত বিষয়ের জনপ্রিয়তা বাড়ছে
বর্তমানে চীনে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের স্নাতক শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ মোটামুটি ভালো। ২০২৫ সালে চীনে সংশ্লিষ্ট মেজরের গবেষকদের সংখ্যা ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চীনের বিভিন্ন প্রত্নতত্ত্বসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে দক্ষ ব্যক্তিদের চাহিদা এখন সংশ্লিষ্ট বিষয়ের স্নাতক শিক্ষার্থীর সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি।
চীনের কেন্দ্রীয় মহানগর বা প্রাদেশিক পর্যায়ের বিভিন্ন প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ, সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার সংরক্ষণ প্রতিষ্ঠান, জাদুঘর, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের বিশ্ববিদ্যালয়, শিল্পকলা একাডেমি, সাংস্কৃতিক ধ্বংসাবশেষ পর্যালোচনা সংস্থসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা বিভাগ প্রত্নতত্ত্ব বিষয়ের শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ দিচ্ছে। তাই বলা যায়, তাদের কর্মসংস্থানের ভবিষ্যত সুউজ্জ্বল।
হারবিন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের হাইড্রোঅ্যাকোস্টিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তি হবার আগে শিক্ষার্থী ছেন হং ইং কখনও এ বিষয় বা মেজরের নাম শোনেননি। বস্তুত, আন্ডারওয়াটার অ্যাকোস্টিক ইঞ্জিনিয়ারিং মূলত সোনার সামগ্রিক প্রযুক্তি, সিগন্যাল প্রসেসিং, সেন্সর এবং অ্যাকোস্টিক সিস্টেমের সাথে জড়িত পানির নিচে অ্যাকোস্টিক প্রযুক্তি। পরিবারের সদস্যদের পরামর্শ শুনে শিক্ষার্থী ছেন হং ইং এ বিষয় বেছে নেন। চলতি বছর তিনি তাঁর মাস্টার্স ডিগ্রী লাভ করেছেন। আর, স্নাতক হওয়ার আগেই তিনি চাকরির অফার পেয়েছেন। ভবিষ্যতে কোথায় চাকরি করবেন, তা নিয়ে ছেন সবসময় তার সহপাঠীদের সাথে আলাপ করেন। তাঁর দৃষ্টিতে যদিও হাইড্রোঅ্যাকোস্টিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়টি একটু অপরিচিত, তবে জাহাজ শিল্প, নভোযান ও মহাশূন্য গবেষণা, এবং ইলেকট্রনিক তথ্য খাতে জড়িত অনেক পদে তিনি চাকরি করতে পারেন। চলতি বছর তিনি ৫/৬টি অফার পেয়েছেন। বস্তুত, বর্তমানে চীনে সংশ্লিষ্ট মেজরে দক্ষ প্রতিভাবান কর্মীর চাহিদা ব্যাপক, তাই সেটি সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য শ্রেষ্ঠ সুযোগ, তারা নিজের জ্ঞান দিয়ে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারেন।