চীনের উচ্চশিক্ষায় তথাকথিত অপরিচিত বিষয়ের জনপ্রিয়তা বাড়ছে
গত কয়েক বছরে চীনের শিক্ষাব্যবস্থায় ব্যাপক সংস্কার সাধিত হয়েছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং সমাজ ও অর্থনীতির উন্নয়নের সাথে পাল্লা দিয়ে দেশে উচ্চশিক্ষা খাতে অনেক নিত্যনতুন মেজর তথা বিষয়ও সংযুক্ত হয়েছে। পাশাপাশি, নতুন পরিস্থিতিতে, তথাকথিত কিছু ‘অপরিচিত’ মেজর বা বিষয়ের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। এর অন্যতম মূল কারণ এ সব বিষয়ে দক্ষ লোকের অভাব। অন্যভাবে বললে, এসব বিষয়ে দক্ষ ব্যক্তির চাহিদা বাড়ার কারণে এসব বিষয়ের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। অতীতে এসব বিষয় ছিল শিক্ষার্থীদের মধ্যে কম জনপ্রিয়। কিন্তু অবস্থা এখন বদলেছে।
ওরাকল বিভাগের স্নাতক শিক্ষার্থী লি ইয়ো শি-র এ বিষয়ের প্রতি ব্যাপক আগ্রহ ছিল। তাই তিনি ওরাকল শেখার সিদ্ধান্ত নেন। স্নাতক হওয়ার পর এখন ইন্টারনেটে ভিডিও ভ্লগার হিসেবে কাজ করেন তিনি। ভিডিওতে তিনি দর্শকদের সামনে ওরাকল সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন।
ওরাকল শিখে কী লাভ হবে? বস্তুত, চীনে প্রায় ৪৫০০টি ওরাকল অক্ষর খুঁজে পাওয়া গেছে, যাদের মধ্যে প্রায় তিন ভাগের দুই ভাগই অপরিচিত। বিভিন্ন অক্ষরের অর্থ জানার জন্য চীনের অক্ষর জাদুঘর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে প্রতিটি ওরাকল অক্ষর সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিতে পারলে ১ লাখ ইউয়ান দেওয়া হবে। প্রাচীনকালের ওরাকল অক্ষর বুঝতে পারে এমন দক্ষ ব্যক্তির চাহিদা এখন অনেক বেড়েছে।
কর্মসংস্থানের সহজলভ্যতার দিক বিবেচনায়, কিছু কিছু অপরিচিত মেজর বা বিষয়ের ব্যাপারে স্নাতক শিক্ষার্থীদের আগ্রহ ব্যাপকভাবে বেড়েছে। যেমন, চলতি বছর চীনের হ্যপেই নোর্মল বিশ্ববিদ্যালয়ের গৃহস্থালি মেজরের স্নাতক শিক্ষার্থীদের চাকরিমেলায় বেইজিং, থিয়ানচিন ও হ্যপেই মহানগর ও প্রদেশের ৩৬টি কোম্পানিতে মোট ৭৫০টিরও বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ দেওয়া হয়। তবে, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতকের সংখ্যা ছিল চাহিদার তুলনায় অনেক কম। শাংহাই ইলেকট্রিক্যাল মেশিনারি স্কুলের কাঁচামাল একাডেমির ঢালাই বিভাগের স্নাতক শিক্ষার্থীরাও মাথাপিছু কয়েকটি করে চাকরির অফার পেয়েছেন।