চীনের উচ্চশিক্ষায় তথাকথিত অপরিচিত বিষয়ের জনপ্রিয়তা বাড়ছে
চীনের শেনচেন জাদুঘরের সাংস্কৃতিক ধ্বংসাবশেষ সংরক্ষণ বিভাগের উপগবেষক ছাই মিং বলেন, সাংম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনাদের দৃষ্টিতে প্রত্নতত্ত্ব মেজরের গুরুত্ব বেড়েছে। বস্তুত, এ মেজরে স্নাতক ডিগ্রিধারীরা অনেক টাকা উপার্জন করতে পারেন। এটি মনোযোগ দিয়ে শান্তভাবে গবেষণার কাজ। তাই, যদি এ বিষয়সংশ্লিষ্ট কাজ করতে চান, তবে ব্যাপক ধৈর্যশীল ও পরিশ্রমী হওয়া আবশ্যক।
চীনের হ্যপেই প্রদেশের সাংস্কৃতিক ধ্বংসাবশেষ ও প্রত্নতত্ত্ব গবেষণাগারের গবেষক চাং ছুন ছাং বলেন, অতীতে প্রত্নতত্ত্ব আর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও জাদুঘর মেজর তেমন পরিচিত বা জনপ্রিয় ছিল না। তবে, চীনের অর্থনীতির দ্রুত উন্নয়ন এবং চীনাদের জীবনমান উন্নত হওয়ার কারণে, সরকার সংস্কৃতি সংরক্ষণের ওপর ব্যাপক গুরুত্ব দেওয়া শুরু করে। এতে চীনাদের দৃষ্টিতে এসব মেজরও বেশ আকর্ষণীয় ও তাত্পর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এটি একটি ভালো প্রবণতা।
তিনি আরও বলেন, প্রত্নতত্ত্ব চীনের ঐতিহ্যিক সভ্যতার সম্প্রসারণ ও সাংস্কৃতিক আত্মবিশ্বাস জোরদারে সহায়ক, তবে বর্তমানে চীনে প্রত্নতত্ত্ব খাতে প্রতিভাবান কর্মীর অভাব প্রকট। এ অভাব সহাসা মিটবে বলেও মনে হচ্ছে না।
চীনের সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, ২০২২ সালের শেষ দিকে চীনে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ধ্বংসাবশেষসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ১১ হাজার ৩৪০টি। আর এসব প্রতিষ্ঠানে দক্ষ কর্মীর সংখ্যা ছিল মাত্র ১.৯ লাখ। এর মধ্যে সিনিয়ার পেশাদার কর্মীর সংখ্যা ছিল মাত্র ১২ হাজার ৭৫৭ জন এবং মধ্যম পর্যায়ের দক্ষ পেশাদার কর্মীর সংখ্যা ছিল ২৪ হাজার ১২৯ জন।
গবেষক চাং আরও বলেন, বর্তমানে অনেক প্রত্নতত্ত্ব প্রতিষ্ঠান, বিশেষ করে স্থানীয় অঞ্চলে সাংস্কৃতিক ধ্বংসাবশেষের পরিমাণ বেশি—এমন প্রতিষ্ঠান উপযোগী ও প্রতিভাবান কর্মী আকর্ষণের জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে। চীনের হ্যপেই সাংস্কৃতিক ধ্বংসাবশেষ ও প্রত্নতত্ত্ব গবেষণাগারে পদ আছে ১৮০টি, কিন্তু কর্মী আছে মাত্র ৬০ জন। প্রতিভাবান কর্মীর চাহিদা এখানে ব্যাপক।