চীনের অন্যতম সেরা শিক্ষক ইয়ু হুই সিয়াংয়ের গল্প
এসব সংস্কারের পর ক্যাম্পাসে লাঞ্চের বিরতির সময় সবচেয়ে আনন্দদায়ক ঘটনার অবতারণা হয়। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন এলাকায় বাচ্চাদের খেলা দেখা যায়, যা শিক্ষকদের জন্য সবচেয়ে সুন্দর দৃশ্য। এ সম্পর্কে প্রেসিডেন্ট ইয়ু হুই সিয়াং বলেন, গাছ ও ফুলসহ প্রাকৃতিক দৃশ্য স্কুলের সৌন্দর্যের প্রতিফলন। বর্তমানে ক্যাম্পাসে ৬০টিরও বেশি পিচগাছ আছে। প্রতিবছর সেসব গাছে পিচফল হয়। তবে, কেউ ফলগুলো তোলে না। এ সম্পর্কে ইয়ু বলেন, শিক্ষার্থীদের জন্য সুশৃঙ্খলা ও নৈতিকতার নিয়ম অনুসরণ করা এবং আত্মসংযমের দক্ষতা অর্জন করা গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষকদের জন্য আন্তরিকতার সাথে ছাত্রছাত্রীদের সাথে সহাবস্থান করা এবং নিজের আচরণ ঠিক করে শিক্ষার্থীদের জন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করা জরুরি কাজ। প্রেসিডেন্ট ইয়ু’র দৃষ্টিতে দীর্ঘকাল ধরে নৈতিক ও পবিত্র পরিবেশ গড়ে তোলা স্কুলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, সেটি প্রত্যেক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের প্রভাবিত করে।
শ্রমের শিক্ষা ইয়ুইং স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের জন্য সমাজের প্রথম ক্লাস। শ্রমের শিক্ষা স্কুলের আরেকটি বৈশিষ্ট্য। প্রেসিডেন্ট ইয়ু’র নেতৃত্বে স্কুলে নিয়মিত শ্রম, উত্পাদন শ্রম, আর পরিষেবা শ্রম নিয়ে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কোর্স চালু হয়েছে। এ পদ্ধতিতে ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে, পরিবারে ও সমাজে বিভিন্ন শ্রমের কাজ করতে পারে। এ শিক্ষা শ্রমের প্রতি সঠিক ধারণা ও অভ্যাস তৈরির জন্য সহায়ক। স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের জন্য শ্রম প্রশিক্ষণ ক্লাস চালু করা হয়েছে। এভাবে প্রত্যেকে নিজের শ্রেরম কাজ বেছে নিতে পারে এবং সংশ্লিষ্ট কর্মসংস্থানও প্রতিযোগিতার মাধ্যমে অর্জন করতে পারে। বিভিন্ন সেমিস্টারে সংশ্লিষ্ট শ্রম কাজের মান পর্যালোচনা করা হয়। প্রতি নতুন সেমিস্টারে তা পরিবর্তনও করা যায়। এ পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন শ্রমমূলক কাজে দক্ষতা অর্জনের সুযোগ ঘটে এবং তাদের আদান-প্রদান ও সহনশীলতার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। টানা ১১ বছর ধরে এ ব্যবস্থা চালু থাকার পর অনেক সাফল্য অর্জিত হয়েছে।
