বাংলা

চীনের অন্যতম সেরা শিক্ষক ইয়ু হুই সিয়াংয়ের গল্প

CMGPublished: 2023-08-21 17:00:44
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

প্রেসিডেন্ট ইয়ু’র নেতৃত্বে শিক্ষকরা আরও বহুমুখী পর্যালোচনা-ব্যবস্থা গড়ে তুলেছেন। এ নতুন ব্যবস্থায় ছাত্রছাত্রীদের বহুমুখী গুণগত মান পর্যালোচনা করা হয়। বিভিন্ন সেমিস্টারে ছাত্রছাত্রীদের বহুমুখী দক্ষতা আর চূড়ান্ত পরীক্ষার ফলাফল একসাথে বিবেচনা করা হয়। বহমুখী দিক থেকে ছাত্রছাত্রীদের স্কোর দেওয়া হয়। এভাবে স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা শুধু পরীক্ষার স্কোরের ওপর গুরুত্ব দেন না, বরং বহুমুখী দক্ষতার চর্চা ও উন্নয়নের দিকেও মনোযোগ দেন।

স্কুলের শিক্ষক সুন জি লং নতুন সংস্কার-ব্যবস্থা সম্পর্কে বলেন, অতীতে শিক্ষকরা ক্লাসের যে-কোনো সময়ে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নিতেন। এ পদ্ধতিতে আসল পরীক্ষায় আরও সহজে ভালো স্কোর পেতো শিক্ষার্থীরা। সেই জন্যে সংস্কারের শুরুতে কোনো কোনো শিক্ষক সন্দেহ প্রকাশ করেন। তবে, ধীরে ধীরে শিক্ষকরা ছাত্রছাত্রীদের পরিবর্তন ও দক্ষতার উন্নয়ন অনুভব করতে থাকেন। শিক্ষক সুনের ক্লাসে সপ্তম শ্রেণীর প্রথম সেমিস্টারে নতুন স্কোর-ব্যবস্থায় মৌলিক শিক্ষা কোর্সের গড়পড়তার স্কোর ছিল ৫.৬ এবং উন্নয়নের সুপ্তশক্তির ক্লাসে স্কোর ২.৩। তবে, নতুন সেমিস্টারে ছাত্রছাত্রীরা নিজ নিজ প্রিয় বিষয় বেছে নিয়ে বিভিন্ন সামাজিক দলের অনুষ্ঠানে যোগ দেয় এবং সাথে সাথে তাদের পড়াশোনার স্কোরও দ্রুত বাড়তে থাকে। তখন তাদের মৌলিক শিক্ষা কোর্সের গড়পড়তরা স্কোর দাঁড়ায় ১০-তে। তখন শিক্ষক সুন প্রেসিডেন্ট ইয়ু’র শিক্ষাসম্পর্কিত চিন্তাভাবনা ভালোভাবে বুঝতে পারেন।

অতীতে নিরাপত্তা বিবেচনায় ইয়ুইং স্কুলে লাঞ্চের পরের একটা লম্বা সময় শিক্ষার্থীরা ক্লাসরুমে বসে থাকতো। তবে, ২০১১ সালের ৮ সেপ্টেম্বর থেকে এ নিয়মও বদলে যায়। এখন লাঞ্চের পর সবাই ক্লাসরুম থেকে বের হয়ে যায় এবং বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলায় মেতে ওঠে। এভাবে তাঁরা শিক্ষাজীবনের একটি সুন্দর সময় কাটানোর সুযোগ পায়। শুরুতে শিক্ষকরা অনেক উদ্বিগ্ন ছিলেন। তাঁরা ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়ে অনেক প্রশ্ন তোলেন। তখন প্রেসিডেন্ট ইয়ু বলেন, যদি কোনো সমস্যা হয়, তবে সে দায় তাঁর নিজের। তাঁর দৃষ্টিতে নিরাপত্তার অজুহাতে বাচ্চাদের খেলার সময় বাতিল করা গ্রহণযোগ্য নয়।

首页上一页12345全文 5 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn