কম্পিউটার গেমস, আসক্তি, সন্তান, ও পিতামাতা
গেমস ডিজাইন করার সময় সেগুলোকে আকর্ষণীয় করার চেষ্টা থাকে। তাই, বাচ্চারা গেমস খেলতে শুরু করলে সহজে থামতে পারে না। আত্মনিয়ন্ত্রণের দক্ষতা দুর্বল এমন বাচ্চাদের জন্য তা আরো কঠিন। তবে বাচ্চাদের খেলা বা গেমস পছন্দ করা স্বাভাবিক। বাবা-মায়ের কাজ বাচ্চাকে আসক্ত হতে না দেওয়া। শুধু গেমসের ব্যাপারে নয়, অন্য যে কোনো কাজে আসক্তি খারাপ ব্যাপার। আসক্তি এক ধরনের মানসিক সমস্যা। যদি বাবা-মা শুধু বকাঝকা করেন, সমালোচনা করেন, তাতে কাজ হবে না।
বাবা-মাকে বাচ্চাদের সাথে গেমস খেলতে হবে এমন কোনো কথা নেই। তবে, বাবা-মা গেমসসম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন। এতে বাচ্চা বাবা-মায়ের প্রতি বেশি সন্তুষ্ট থাকবে। সন্তানকে বুঝতে দিতে হবে যে, তাঁর পছন্দের বিষয়টি তাঁরাও গুরুত্ব দেন; তবে, বাড়াবাড়ি ভালো নয়।
মনোযোগ দিয়ে বাচ্চাদের কথা শোনা হবে বাবা-মায়ের জন্য একটি প্রয়োজনীয় বিষয়। যদি বাচ্চাদের সাথে আদান-প্রদান করতে চান, তাহলে বাচ্চাদে ৮০ শতাংশ কথা বলতে দিন এবং শুধু ২০ শতাংশ কথা নিজে বলু। বকাঝকা করার চেয়ে এটা বেশি কার্যকর।
গবেষক ছু মনে করেন, মনোযোগ দিয়ে বাচ্চাদের কথা শোনা মানে বাচ্চাদের সম্মান ও মর্যাদা দেওয়া। এভাবে পিতামাতা ও বাচ্চার মধ্যে পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে সুসম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে। কম্পিউটার গেমস পিতামাতা ও বাচ্চার মধ্যে সুসম্পর্কের পথে বাধা হওয়া উচিত নয়, বরং একে একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে, যেখানে সন্তানের সাথে পিতামাতার ভাব বিনিময় হবে।