কম্পিউটার গেমস, আসক্তি, সন্তান, ও পিতামাতা
বাচ্চাদের খেলাধুলা পছন্দ। তাদের এ থেকে বিরত রাখা অসম্ভব ব্যাপার। ইতিবাচক পরামর্শ ও নির্দেশনায় তারা খেলার মাধ্যমে আরও অনেক জ্ঞান ও তথ্য জানতে পারে। একসাথে কম্পিটার গেমস খেলার মাধ্যমে পিতামাতা ও বাচ্চাদের সাথে সম্পর্কও ঘনিষ্ঠতর হতে পারে। নির্ধারিত সময়ের জন্য বাচ্চার সাথে গেমস খেলা প্রচ্ছন্ন প্রশ্রয় নয়, বরং এক ধরনের সমঝোতা। এভাবে বাবা-মা বাচ্চাদের চেতনা ও মনে প্রবেশ করতে পারেন।
অনেক পিতামাতা বুঝতে পারেন না যে, সমঝোতা ও পারস্পরিক বোঝাপড়া হবে শিক্ষার পূর্বভিত্তি। যখন বাচ্চারা গেমস খেলতে শুরু করেন, তারা পরামর্শ দিতে চান। সবসময় বাচ্চাদের এ জন্য বকাঝকা করলেই বরং তাদের গেমসে আসক্ত হবার আশঙ্কা বাড়ে। বাচ্চাদের সাথে পিতামার সম্পর্কের অবনতি ঘটার আশঙ্কাও আছে এক্ষেত্রে।
বস্তুত, অনেক পিতামাতা বাচ্চাদের কাছ থেকে অনেককিছু আশা করেন। তারা চান সন্তান তাদের সব কথা শুনুক। কিন্তু বাস্তবে এমনটা সম্ভব নয়। বাচ্চাদের তাদের প্রিয় গেমস খেলা থেকে বিরত রাখা সম্ভব নয়। তবে, তাদের সময় বেধে দেওয়া সম্ভব। তা ছাড়া, খেলায় রাখতে হবে যে, গেমসে ক্ষতিকর কিছু আছে কি না। চীনের শিক্ষা বিজ্ঞান গবেষণাগারের গবেষক ছু চাও হুই বলেন, পিতামাতা ও সন্তানের আত্মনিয়ন্ত্রণের দক্ষতার মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই পার্থক্য রয়েছে। যেটা পিতামাতার জন্য সহজ, সেটা সন্তানের জন্য সহজ নাও হতে পারে। পিতামাতাকে বিষয়টা খেয়াল রাখতে হবে।
ছেলে ছুই চৌ পিং এখন বড় হয়েছে। ছোটবেলায় সে সবসময় কম্পিউটার গেমস খেলতো। সাধারণত রাত ৯টা থেকে গেমস খেলা শুরু করতো সে এবং শেষ করতো পরের দিন ভোরে। মাধ্যমিক স্কুল থেকে তাঁর গেমস খেলা শুরু হয়। তখন বাবা-মা এ ব্যাপার নিয়ে তার সাথে ঝগড়া করতেন। কিন্তু সে বাবা-মায়ের কথা না-শুনে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত গেমস খেলার অভ্যাস বজায় রাখে। এ কয়েক বছর বাবা-মায়ের সাথে তার সম্পর্ক খুবই খারাপ ছিল।