কম্পিউটার গেমস, আসক্তি, সন্তান, ও পিতামাতা
সম্প্রতি চীনের সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এক ছেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা তথা কাওখাও-এর জন্য প্রস্তুতির স্বার্থে এক বছর ইন্টারনেট গেমস খেলেনি এবং তাঁর খেলার অ্যাকাউন্ট ঠিক রাখতে তাঁর মা সবসময় তাঁর পক্ষে অনলাইনে গেমস খেলেছেন। ফলে, এখন তাঁর মা তাঁর চেয়েও ভালো কম্পিউটার গেমস খেলেন। কাওখাও পরীক্ষার পর ছেলে খেয়াল করে যে, তার অ্যাকাউন্টের মান মায়ের সাহায্যে অনেক উন্নত হয়েছে। সেই ভিডিও পোস্ট করার পর অনেকে এমন মন্তব্য করেন: “আহা! যদি আমার বাবা বা মায়ের সাহায্যে আমিও তোমার মতো পরিশ্রমের সাথে লেখাপড়া করতাম!”
বস্তুত, এটি কেবল একটি উদাহরণ মাত্র। এ থেকে বোঝা যায়, কম্পিউটার বা মোবাইল ফোনের গেমস আমাদের জীবনে কতোটা সাধারণ ও স্বাভাবিক একটি বিষয়। নতুন প্রজন্মের শিশু-কিশোরদের ওপর এর ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। আজকের অনুষ্ঠানে আমরা এ নতুন পরিবেশে মধ্যবয়সী পিতামাতা এবং গেমসে আসক্ত শিশু-কিশোরদের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করবো।
বস্তুত, গত বছরের শেষ দিকে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কিশোর-কিশোরী অধিকার বিভাগ এবং চীনের ইন্টারনেট তথ্যকেন্দ্রের যৌথ উদ্যোগে চীনা শিশু-কিশোরদের ইন্টারনেট ব্যবহারের বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন রচনা করা হয়। ২০২১ সালে চীনের ১৮ বছর বয়সের নিচে এবং ৬ বছরের উপরে ছাত্রছাত্রীদের মোট সংখ্যা ১৯.১ কোটি জনেরও বেশি ছিল, যাদের মধ্যে ৯৬.৮ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহার করে এবং ৯০.৭ শতাংশ মোবাইল ফোন দিয়ে ইন্টারনেট সার্ফিং করে।
মোবাইল ফোন ব্যবহারে নিজেদের বাচ্চাদের সহজে আসক্ত হবার আশঙ্কা নিয়ে সচেতন অনেক বাবা-মা। প্রতিবছরের গ্রীষ্মকালীন ও শীতকালীন ছুটিতে বাচ্চাদে মোবাইল ফোন দেখা বা গেমস খেলা নিয়ে বিভিন্ন পরিবারে অশান্তি দেখা দেয়। অনেক বাবা-মা বলেন, তাদের বাচ্চার হাতে মোবাইল ফোন থাকলে, সে সারদিন শান্ত থাকে, মোবাইল ফোন নিয়ে নিলেই সে ঝামেলা শুরু করে।