চীনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত শিক্ষা এবং শিশু-কিশোরদের স্বপ্ন
চীনের বাধ্যতামূলক শিক্ষার মান সম্পর্কে সর্বশেষ পর্যবেক্ষণ থেকে জানা গেছে, চীনের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্লাসের স্কোর মোটামুটি ভালো; প্রায় ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থী মাঝারি বা উচ্চ মানের স্কোর করে থাকে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী পর্যালোচনা প্রকল্পে (পিআইএসএ) চীনের চারটি প্রদেশের ছাত্রছাত্রীদের বই পড়া, গণিত আর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্লাসের স্কোর সকল অংশগ্রহণকারী দেশের মধ্যে শীর্ষস্থানে দাঁড়িয়েছে।
গত ১০ বছরে চীনের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষা সার্বিকভাবে জোরদার করা হয়েছে। এখন প্রাথমিক স্কুলের প্রথম শ্রেণী থেকে মাধ্যমিক স্কুলের নবম শ্রেণী পর্যন্ত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্লাস চালু আছে। এতে তথ্যপ্রযুক্তি ও শ্রম প্রশিক্ষণ বিষয় রয়েছে। ২০২২ সালে চীনের বিভিন্ন প্রাথমিক স্কুল, মাধ্যমিক স্কুল ও উচ্চবিদ্যালয়ের পরীক্ষাগারগুলোর সাজ-সরঞ্জামের পরিমাণও ২০১২ সালের চেয়ে অনেক বেড়েছে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির শিক্ষা চীনা কিশোর-কিশোরীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক। আর দক্ষ ব্যক্তিরা দেশের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্ভাবন ও আবিষ্কারে অবদান রাখে এবং দেশকে আরও সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।
তবে, বর্তমানে বিজ্ঞান শিক্ষা খাতে চীনের কিছু কিছু এলাকা পিছিয়ে আছে। বিজ্ঞান শিক্ষার সংশ্লিষ্ট সম্পদ বা দক্ষ শিক্ষকের অভাব এসব এলাকায় স্পষ্ট। এসব এলাকার বিজ্ঞান ক্লাস থেকে দেশের জন্য যথেষ্ট দক্ষ ও যোগ্য লোক বের হতে পারছে না। প্রয়োজনীয় সংস্কারের মাধ্যমে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে হবে।
চীনের হুনান প্রদেশের ছাংশা শহরের ছাংচুন মেইসিহু মাধ্যমিক স্কুলের উদ্ভাবনী কেন্দ্রে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র লিউ জি ছি রুলার দিয়ে বাতির আলোতে সবুজ শিম স্প্রাউটের উচ্চতা মাপে এবং তার সহপাঠী সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার পরিসংখ্যান রেকর্ড করে। এ সম্পর্কে বিজ্ঞান ক্লাসের সহকারী শিক্ষক লং সিয়াও হুয়া বলেন, বিজ্ঞান ক্লাসে ছাত্রছাত্রীরা রুমের আলোর অভাব কীভাবে উদ্ভিদের বড় হওয়ায় ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, তা পর্যবেক্ষণ করতে পারে। তিনি ক্লাসের ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন দলে ভাগ করেন। শিক্ষার্থীরা উদ্ভিদের উচ্চতা ও পাতার রঙসহ বিভিন্ন বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করার মাধ্যমে আলো যে উদ্ভিদের জন্য কতো গুরুত্বপূর্ণ তা নিয়ে গবেষণা করে।