চীনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত শিক্ষা এবং শিশু-কিশোরদের স্বপ্ন
সম্প্রতি চীনের শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ ১৮টি সরকারি বিভাগ ‘নতুন যুগে চীনা ছাত্রছাত্রীদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষা জোরদারের কর্ম-প্রস্তাব’ প্রকাশ করে। ‘দ্বৈত হ্রাস’ নীতি চালু করার পাশাপাশি, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার ওপর এতে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আর এর লক্ষ্য, শিক্ষার মাধ্যমে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলা।
বর্তমানে চীনের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে শিক্ষা-কার্যক্রম কেমন চলছে? কিভাবে স্কুলের বাইরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশিক্ষণকোর্সের সাথে স্কুলের সংশ্লিষ্ট ক্লাসের শিক্ষাকে যুক্ত করা হচ্ছে? দূরবর্তী বা অনুন্নত এলাকার স্কুলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্লাসের মান কিভাবে শহরের মতো উন্নত করা যায়? আজকের অনুষ্ঠানে আমরা এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো।
চীনের শাআনসি প্রদেশের রাজধানী সি’আন শহরের প্রাথমিক স্কুলের বাচ্চারা বোটানিক্যাল গার্ডেনের বিজ্ঞান গবেষণা ঘাঁটিতে বিভিন্ন ধরনের উদ্ভিদের রাইজোম ও পাতা পর্যবেক্ষণ করতে পারে; আবহাওয়া ব্যুরোতে বাতাসের মাত্রা মাপার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ সম্পর্কে ধারণা পেতে পারে; মহাকাশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে তাঁরা রকেট নিক্ষেপ, মহাকাশকেন্দ্রের সাথে মহাকাশযানের সংযুক্তির দৃশ্য দেখতে পারে। এগুলো বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রতি তাদের আগ্রহ তৈরিতে সহায়ক।
বর্তমানে চীনে সহস্রাধিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর রয়েছে। প্রায় ১০ হাজার কেন্দ্র আছে গ্রামাঞ্চলের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য। এসব কেন্দ্র থেকে তাঁরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান অর্জন করতে পারে। পাশাপাশি, চীনের কেন্দ্রীয় লটারি কেন্দ্রের কমিউনিটি চেস্টের সমর্থনে ১৪০টিরও বেশি পরীক্ষামূলক বহুমুখী ঘাঁটি নির্মিত হয়েছে এবং ৬২০টিরও বেশি গবেষণার ঘাঁটি ও ক্যাম্প নির্মিত হয়েছে। এর ফলে শিশু-কিশোর শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে জ্ঞান অর্জনের সুযোগও বেড়েছে।