চীনের শিক্ষা খাতের উন্নয়ন, নতুন মেজর, নতুন পদ্ধতি
নতুন যুগে বিদেশি ভাষা জানা দক্ষ ব্যক্তিদের চাহিদা বিবেচনা করে, ২০১০ সাল থেকে অনার্স শিক্ষার্থীদের জন্য আন্তর্জাতিক মানের সাথে যুক্ত প্রশিক্ষণ পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০১৮ সাল থেকে অপ্রচলিত ভাষার শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণে দেশের কৌশলগত উন্নয়নের চাহিদা আরও বিস্তারিতভাবে বিবেচনা করা হয়। এভাবে বহু ভাষা জানা দক্ষ ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, যারা পরে আন্তর্জাতিক বিনিময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে। এমন শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানেও কর্মসংস্থানের সুযোগ পেতে পারে।
বহুমুখী দোভাষী সৃষ্টির লক্ষ্যে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যৌথ অনার্স ডিগ্রি প্রকল্পও চালু করা হয়েছে। যেমন, চীনের রাষ্ট্রীয় বিজ্ঞান ও আইন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে ‘ইংরেজি প্লাস আইন’ অনার্স মেজর চালু করা, চীনের পিপলস বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে ‘স্প্যানিশ প্লাস আন্তর্জাতিক তথ্য ও সম্প্রচার’ অনার্স মেজর চালু করা হয়েছে।
২০২১ সালে অনার্স শিক্ষার্থীদের জন্য ৩ থেকে ৮ সেমিস্টারের মাইনর কোর্স চালু করা হয়। এভাবে অন্যান্য মেজরের শিক্ষার্থীরা ইংরেজি, কূটনীতি, আইন, সাংবাদিকতা, যোগাযোগ, আন্তর্জাতিক অর্থনীতি ও বাণিজ্য, আন্তর্জাতিক ব্যবসা, চীনা ভাষার সাহিত্যসহ যে-কোনো মাইনর কোর্সে যথেষ্ঠ ক্রেডিট অর্জন করে সংশ্লিষ্ট মেজরের মাইনর কোর্সের সনদপত্র পেতে পারে।
বিএফএসইউ বিশ্বের ৮৪টি দেশ ও অঞ্চলের ২৯৯টি বিশ্ববিদ্যালয় ও পেশাগত প্রতিষ্ঠানের সাথে সহযোগিতামূলক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এ কাঠামোতে বিএফএসইউ’র শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দেশে ইন্টারশিপ করার বা উচ্চতর শিক্ষাগ্রহণের সুযোগ পেতে পারে। তা ছাড়া, বিশ্বের ৬২টি দেশের শতাধিক বিদেশি বিশেষজ্ঞ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস নিয়ে থাকেন।
বিভিন্ন বিদেশি ভাষায় স্নাতক ডিগ্রিপ্রাপ্তদের কর্মসংস্থানের সুযোগও অনেক বেশি। যেমন, চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, চীনের বৈদেশিক যোগাযোগ মন্ত্রণালয়, বিভিন্ন প্রদেশের বৈদেশিক যোগাযোগ কার্যালয়, বিভিন্ন ব্যাংকের বিদেশি শাখা অফিস, এবং রেড ক্রস সোসাইটিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান বা সংস্থায় তাঁরা কাজ পেতে পারেন এবং পাচ্ছেন।