চীনের শিক্ষা খাতের উন্নয়ন, নতুন মেজর, নতুন পদ্ধতি
১০১টি বিদেশি ভাষার মেজরের মধ্যে ৩৪টি ভাষা চীনের শ্রেষ্ঠ অনার্স মেজরে পরিণত হয়েছে। বাংলা ভাষাও এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। তা ছাড়া, আরও রয়েছে পতুর্গাল, কম্বোডিয়া, লাওস, মালিয়েশিয়া, মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডসহ অনেক দেশের ভাষা। আরও ১৪টি ভাষার মেজর চীনের প্রাদেশিক পর্যায়ের মেজর হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ফিনল্যান্ড, গ্রিস, ভারত (হিন্দি) ও পাকিস্তানের (উর্দু) ভাষা।
বেইজিং ফরেন স্টাডিজ ইউনিভার্সিটি তথা বিএফএসইউতে বিদেশি ভাষায় পড়াশোনার মানের ওপর অনেক গুরুত্ব দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভাষার শিক্ষার্থীরা সংশ্লিষ্ট ভাষার জ্ঞান ও ব্যাকরণ জানার সাথে সাথে, সে ভাষায় কথা বলা ও সংশ্লিষ্ট দেশের সাথে সাংস্কৃতিক বিনিময়ের ক্ষেত্রেও দক্ষতা অর্জন করে।
বিএফএসইউ-এর শিক্ষক স্যু লি লি বলেন, বিএফএসইউ চীনের উন্নয়নের চাহিদা বিবেচনা করে, বিভিন্ন ধরনের দোভাষী সৃষ্টির চেষ্টা করে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল উদ্দেশ্য পৃথিবীর বিভিন্ন ধরনের ভাষা ও সংস্কৃতির ওপর নজর রাখা এবং দক্ষ দোভাষী সৃষ্টি করা। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা কেবল ভাষা-ই শেখে না, বরং সংশ্লিষ্ট দেশের সংস্কৃতি ও সভ্যতা সম্পর্কেও জ্ঞান অর্জন করে।
চীনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদেশি ভাষা বিভাগের মধ্যে প্রতিযোগিতায় বিএফএসইউ শীর্ষস্থানে রয়েছে। ১০১টি বিদেশি ভাষার মধ্যে ৪৭টি ভাষায় মেজর কেবল এ বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে। তবে, বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি ভাষা পড়ানোর সময় শিক্ষার্থীদের সাহিত্য, আইন, অর্থনীতি, প্রশাসনসহ বিভিন্ন বিষয়ও পড়তে হয়।
বিএফএসইউ’র বিদেশি ভাষা প্রশিক্ষণপদ্ধতি সম্পর্কে শিক্ষক স্যু বলেন, সকল বিভাগের অনার্স ছাত্রছাত্রীদের অন্তত দুটি ভাষা শিখতে হয়। যাদের শেখার দক্ষতা ভালো, তারা তৃতীয় আরেকটি ভাষাও শিখতে পারে। আর যারা বিদেশি ভাষার মেজরের অনার্স শিক্ষার্থী নয়, তারা প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দোভাষী-প্রশিক্ষণে অংশ নিতে পারে এবং ইংরেজি, ফরাসি বা স্প্যানিশ ভাষা শিখতে পারে। বিভিন্ন অপ্রচলিত ভাষার ক্লাসে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কম। সাধারণত এক ক্লাসে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ২৪ জনের চেয়ে কম এবং শিক্ষকের সংখ্যা ৩ জন। এভাবে শিক্ষকরা ছাত্রছাত্রীদের আরও ভালোভাবে শেখাতে পারেন।