শিক্ষকের বিয়েতে কিন্ডারগার্টেনের শিশুদের বিশেষ উপহার ও অন্যান্য প্রসঙ্গ
সহপাঠীরা সবাই জানে যে, সিয়াও হং চীনা অপেরা বেশ পছন্দ করে। তবে তাঁর গাওয়া অপেরা কখনও তারা শুনে নাই। তাই, অনলাইনে চীনা অপেরা গেয়ে তাঁর ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠার ব্যাপারটি ছিল সহপাঠীদের জন্য আশ্চর্যের। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, “যদিও আমার অভিনয় ও গাওয়া তেমন একটা ভালো নয়, তবে নেটিজেনদের কাছ থেকে অনেক উত্সাহ পেয়েছি। আশা করি, আমার এ উদ্যোগের মাধ্যমে আরো বেশি চীনা যুবক অপেরা পছন্দ করবে।”
নভেম্বর মাসে সিয়াও হং জন্মস্থানে ফিরে যান। ভবিষ্যতে তিনি জন্মস্থান তালিয়ান শহরে একটি অপেরাবিষয়ক স্টুডিও চালু করতে চান। এই স্টুডিওতে এসে সাধারণ মানুষ অপেরার অভিনেতা-অভিনেত্রীদের মতো মেকআপ নিতে পারবেন, তাদের মতো অপেরা গাওয়া চেষ্টা করতে পারবেন। এর মাধ্যমে চীনা অপেরা আরও জনপ্রিয় হবে।
অটিজমে আক্রান্ত শিশু-কিশোরদের ফুটবল দল
আধুনিক সমাজের উন্নয়ন ও চিকিত্সার মানের উন্নতির ফলে অনেক রোগ চিহ্নিত করা আজকাল অতীতকালের চেয়ে সহজতর হয়েছে। অটিজম তেমনি একটি রোগ। যারা ছোটবেলা থেকে অটিজম রোগে আক্রান্ত, তাদেরকে ‘তারার শিশু’ ডাকা হয়। চীনের হাইনান প্রদেশের হাইখৌ শহরে একটি বিশেষ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালু আছে, যার প্রশিক্ষণার্থী বাচ্চাদের সবাই অটিজম রোগে আক্রান্ত। তাদের স্বাভাবিক জীবনকে মোটামুটি স্বাভাবিক করতে শিক্ষক শি হান প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সূর্যাস্তের আগে তিনি বাচ্চাদের নিয়ে খেলার মাঠে পৌঁছান এবং তাঁর নেতৃত্বে বাচ্চাদের শরীরচর্চা ক্লাস শুরু হয়। বর্তমানে তাঁর ক্লাসে মোট ৭টি শিশু আছে। তাদের ফুটবল খেলা শেখান তিনি। তিনি প্রত্যেক বাচ্চার সাথে কথা বলেন, তাদের প্রশিক্ষণ দেন। এখন ফুটবলের অনেক কলাকৌশল শিখেছে বাচ্চারা।
৫০ মিনিটের ক্লাসে বাচ্চাদের নিয়ে ফুটবলের বিভিন্ন কৌশল চর্চা করেন তিনি। বাচ্চারাও এ খেলার মাধ্যমে শরীরচর্চার পাশাপাশি আনন্দ পায়। গবেষণা থেকে জানা গেছে, শরীরচর্চা অটিজমে আক্রান্ত বাচ্চাদের বিনিময়ের দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক। এ কারণেই শিক্ষক শি বাচ্চাদের জন্য ফুটবলের ক্লাস চালু করেন।