শিক্ষকের বিয়েতে কিন্ডারগার্টেনের শিশুদের বিশেষ উপহার ও অন্যান্য প্রসঙ্গ
সম্প্রতি চীনের উহান ছাংচিয়াং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পকলা ও মিডিয়া বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র সিয়াও হং চীনা অপেরায় অভিনয় করে চীনের ইন্টারনেটে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। জনপ্রিয়তা পাবার পর এক সাক্ষাত্কারে তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হয়ে বের হবার সময় ঘনিয়ে আসছিল; কোনো কোনো সহপাঠী ইন্টারশিপও শুরু করে দিয়েছিল। হলে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা দিন দিন কমে আসছিল। এ সময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবন শেষ করার আগে, চীনা অপেরা গাওয়ার মাধ্যমে নিজের জন্য স্মৃতি ধরে রাখতে চাইলেন। হলের টেবিলে সামনে বসে তিনি অপেরা গাইতে ও তা ভিডিও করতে শুরু করেন।
ছোটবেলা থেকেই চীনা অপেরা শুনতে পছন্দ করতেন সিয়াও হং। ৩/৪ বছর বয়সেই তিনি নানার সাথে অপেরা শুনতে শুরু করেন এবং নানার মতো অপেরা গাইতে চেষ্টা করেন। উচ্চবিদ্যালয়ে ভর্তির সময় তিনি পিতামাতার সাথে চীনা অপেরাকে মেজর হিসেবে নেওয়ার বিষয়ে পরামর্শ করেন। তবে, তাঁর পিতামাতা মনে করেন যে, অপেরাকে মেজর হিসেবে নিলে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে অসুবিধা হবে। ফলে তিনি অন্যান্য ছাত্রছাত্রীর মতো সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন; অপেরাকে আর তাঁর মেজর হিসেবে নেওয়া হয়নি।
ছাংচিয়াং বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস উহান শহরে অবস্থিত। উহানে চীনা অপেরার পরিবেশ বেশ ভালো ছিল। সিয়াও হং তাঁর সব ছুটির দিন অপেরা থিয়েটারে কাটাতেন। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অপেরার থিয়েটারে যাওয়া-আসায় তিন ঘন্টারেরও বেশি সময় লাগে। মাঝে মাঝে থিয়েটারে সুবিখ্যাত অপেরা তারকা আসতেন। তখন অনেক দিন আগে টিকিট কেনার জন্য লাইনে অপেক্ষা করতে হতো তাকে।
থিয়েটারে অপেরা দেখা তাঁর জন্য বরাবরই ছিল আনন্দদায়ক ব্যাপার। প্রতিবার অপেরা দেখার পর তিনি প্রত্যেক তারকার অভিনয় ও গাওয়ার কৌশল নিয়ে গবেষণা করতেন। তিনি সংবাদদাতাকে থিয়েটারের মোট ৭৮টি কাগজের টিকিট দেখান। ই-টিকিট তো রয়েছেই। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসের শেষ পর্যন্ত অপেরা থিয়েটারে মোট ৮২ বার গিয়েছেন সিয়াও হং।