শিক্ষকের বিয়েতে কিন্ডারগার্টেনের শিশুদের বিশেষ উপহার ও অন্যান্য প্রসঙ্গ
আমাদের আসরে চীনের বিভিন্ন এলাকার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের গল্প তুলে ধরবো। তাদের জীবনের অভিজ্ঞতা, তাদের গবেষণার সাফল্য, এবং দেশের উন্নয়নের জন্য তাদের অবদানসহ বিভিন্ন বিষয় আজকের আসরে উঠে আসবে। সে হিসেবে আজকের আসর একটু আলাদা। আমরা কয়েকটি চমত্কার গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। এর মধ্যে থাকতে শিক্ষকের বিয়েতে কিন্ডারগার্টেনের শিশু-শিক্ষার্থীদের উপহার দেওয়ার গল্পও। আরও আছে চীনা কিশোর-কিশোরীদের অপেরা শেখার অভিজ্ঞতা এবং অটিজম রোগে আক্রান্ত বাচ্চাদের প্রশিক্ষণে শিক্ষকের নিরলস প্রচেষ্টার কাহিনী। চলুন, মূল আসরে যাওয়া যাক।
ছেন তুং চীনের চিয়াংসু প্রদেশের থাইচৌ শহরের সিনছিয়াও কিন্ডারগার্টেনের একমাত্র পুরুষ শিক্ষক। এখানকার শিশু-শিক্ষার্থীরা তাঁকে পছন্দ করে এবং তাকে ‘ছেন বাবা’ বলে ডাকে। সম্প্রতি শিক্ষক ছেন বিয়ে করেছেন। বাচ্চারা এ সুখবর শুনে তাঁর জন্য বিশেষ একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজন করে। সে এক চমত্কার মনোমুগ্ধকর গল্প।
শিক্ষক ছেন ছুটি নিয়ে জন্মস্থানে যান এবং বিয়ে করেন। তাঁর স্ত্রী-ও একটি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা। সেই স্কুলও কিন্ডারগার্টেনের কাছাকাছি অবস্থিত। ছেনের স্ত্রী বিয়ের আগে থেকেই কিন্ডারগার্টেনের বাচ্চাদের সাথে পরিচিত। তিনি মাঝেমাঝে এখানে এসে বাচ্চাদের সাথে খেলাধুলা করতেন। যখন শিক্ষক ছেন বিবাহের জন্য ছুটিতে যান, তখন কোনো কোনো বাচ্চা জানতে চায়: আমাদের ছেন বাবা কোথায় গেছেন? তাঁর বিবাহের খবর শুনে অনেক বাচ্চা বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করে। বিষয়টি নিয়ে বাচ্চাদের পিতামাতারা আলোচনা করে কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষক ছেনের জন্য আরেকটি বিশেষ বিবাহ অনুষ্ঠান আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়, যাতে বাচ্চারা তাদের প্রিয় শিক্ষকের বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারে। এ পরিকল্পনার কথা শুনে শিক্ষক ছেনও আনন্দের সাথে নিজের সম্মতি দেন। তখন বাচ্চারা তাদের প্রিয় শিক্ষকের জন্য নিজেদের হাতে বিভিন্ন উপহার বানাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। কেউ চীনা ভাষায় ‘সুখ’ অক্ষর লেখে, কেউ গলার মালা ও রিং তৈরি করে, কেউ কেউ আবার নতুন বৌ-কে স্বাগত জানাতে সাইকেলদল গঠন করে। আর এভাবেই একটি বিশেষ বিবাহ অনুষ্ঠানের সফল যাত্রা শুরু হয়।