বাংলা

চীনে প্রবীণদের জন্য ‘সিনিয়র বিশ্ববিদ্যালয়’ ও প্রসঙ্গকথা

CMGPublished: 2022-11-14 16:04:32
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

২০২১ সালের শেষ দিকে চীনে ৬০ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সের লোকদের সংখ্যা ২৬ কোটি ৭০ লাখ ছাড়িয়েছে। আগামী কয়েক বছরে এ সংখ্যা ৩০ কোটি ছাড়িয়ে যাবে। তাই, বয়স্কদের জন্য শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বাড়ানো জরুরি ব্যাপার। কারণ, বর্তমানে সিনিয়র বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মাত্র কয়েক কোটি প্রবীণ শিক্ষার্থী গ্রহণ করতে পারে। বাকিরা এ সুযোগ থেকে বঞ্চিতই থেকে যাচ্ছে। তাদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করতে নতুন নতুন সিনিয়র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই।

উন্নত শহরের তুলনায় দূরবর্তী এলাকা বা তুলনামূলকভাবে কম উন্নত এলাকায় সিনিয়র বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা অনেক কম। যেসব বিশ্ববিদ্যালয় আছে, সেগুলোর মানও তুলনামূলকভাবে কম। তাই, শহর ও জেলার বিভিন্ন আবাসিক কমিউনিটিতে সিনিয়র বিশ্ববিদ্যালয় বা শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা অতি জরুরি ব্যাপার। তা ছাড়া, আরও বেশি অনলাইন শিক্ষা প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলাও জরুরি। সেক্ষেত্রে প্রবীণরা ঘরে বসেই সংশ্লিষ্ট ক্লাসে অংশ নিতে পারেন।

চীনা হস্তকর্মশিল্পীদের চেতনা

সম্প্রতি ‘বিশ্ব দক্ষতা প্রতিযোগিতা, ২০২২’ আয়োজিত হয়। সুইজারল্যান্ডে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় চীনা পুরুষ লি ত্য সিন আসবাবপত্র তৈরি প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক লাভ করেন। তাঁর মাধ্যমে চীনের ‘যুব লুবান’ বিশ্বের সামনে উপস্থাপিত হয়েছে। লুবান প্রাচীনকালে চীনের অতি বিখ্যাত একজন কাঠমিস্ত্রি ছিলেন। তিনি অনেক কঠিন ডিজাইনের আসবাবপত্র ও কাঠের জিনিস তৈরি করতেন। তাই চীনারা দক্ষ কাঠমিস্ত্রিকে ‘লুবান’ বলে ডাকে।

লি ত্য সিনের স্বর্ণপদক ছিল চীনা প্রতিনিধিদলের অর্জিত প্রথম স্বর্ণপদক। প্রতিযোগিতার পর দেওয়া সাক্ষাত্কারে ২২ বছর বয়সের ছেলে লি ত্য সিন বলেন, দীর্ঘকাল ধরে বিজ্ঞানসম্মত প্রশিক্ষণ ও চর্চার পর তিনি স্বর্ণপদক লাভ করেছেন।

তাঁর শিক্ষক লিউ সিয়াও হং বলেন, ছেলে লি ত্য সিনের শিল্পকর্ম অতি চমত্কার। তাঁর দক্ষতা ভালো। বহুমুখী দক্ষতার কারণে সে প্রতিযোগিতায় শীর্ষস্থানে দাঁড়াতে পেরেছে।

首页上一页12345全文 5 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn