চীনে প্রবীণদের জন্য ‘সিনিয়র বিশ্ববিদ্যালয়’ ও প্রসঙ্গকথা
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনের বিভিন্ন শহর ও প্রদেশে ‘সিনিয়র বিশ্ববিদ্যালয়’ চালু হয়েছে। যারা অবসর নিয়েছেন, তাদের অনেকে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন; তাদের পড়াশোনা বন্ধ হয়নি। তাঁরা অবসরগ্রহণের পর এসব বিশ্ববদ্যালয়ে নতুন নতুন জ্ঞান শেখার সুযোগ পাচ্ছেন। সিনিয়রদের মধ্যে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের জনপ্রিয়তাও বাড়ছে। আজকের অনুষ্ঠানে আমরা চীনের ‘সিনিয়র বিশ্ববিদ্যালয়’-এ শিক্ষাদান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করবো।
চীন সরকারের নেতৃত্বে বয়স্কদের জন্য বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে ও উঠছে। সিনিয়র বিশ্ববিদ্যালয় এগুলোর মধ্যে একটি। আসলে এ উদ্যোগের সাথে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রবীণ জনগোষ্ঠীর কল্যাণের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। প্রবীণদের যত্ন নিতে ও তাদের জীবনের চাহিদা মেটাতেই এসব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে ও হচ্ছে। চলতি বছরের অগাস্ট মাসে চীনের রাষ্ট্রীয় পরিষদের কর্মপ্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৫ সালের মধ্যে চীনের প্রতিটি শহরে কমপক্ষে একটি ‘সিনিয়র বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠিত হবে।
আমরা সিনিয়র বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তার কাছ থেকে জানতে পেরেছি যে, গত কয়েক বছরে চীনের সিনিয়র বিশ্ববিদ্যালয়ের চাহিদা অনেক বেড়েছে। প্রতিবছর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। তবে, নানান সীমাবদ্ধতার কারণে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সবাইকে ভর্তি করা একটি চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার।
এ সম্পর্কে চীনের সিনিয়র বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের উপমহাসচিব লি চুন হুয়া বলেন, সিনিয়র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য প্রবীণদের উপযোগী শ্রেণীকক্ষ, শিক্ষক এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগের অনুমোদন দরকার। বিভিন্ন ধরনের সিনিয়র বিশ্ববিদ্যালয় সরকারের বিভিন্ন বিভাগের অধীনে পরিচালিত হয়। যেমন শিক্ষা, সংস্কৃতি বা সিভিল বিষয়ক বিভাগ, ইত্যাদি। বিভিন্ন বিভাগের অধীনে থাকায় এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেটে উত্সও আলাদা।