চীনের শ্রেষ্ঠ শিক্ষকদের নামতালিকা প্রকাশ
ফেংতু জেলা তিন গিরিখাত বিদ্যুত্ কেন্দ্র প্রকল্প-এলাকায় অবস্থিত। স্থানীয় বাসিন্দাদের সংখ্যা প্রায় সাড়ে আট লাখ। তাদের মধ্যে প্রায় আড়াই লাখ অন্যান্য শহর বা জেলায় চাকরি করেন। তাই অতীতে স্থানীয় কৃষিকাজ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। এ সম্পর্কে ফেংতু জেলার সিপিসি’র সাধারণ সম্পাদক চাং কুও চোং বলেন, গ্রামবাসীদের অনেকেই শহরে চলে যেতেন। এ অবস্থায় গ্রামাঞ্চলের অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে নতুন ধরনের কৃষকদের আকর্ষণ করা প্রয়োজন হয়। তারা গ্রামের উন্নয়নে আবেগ ও দক্ষতা প্রয়োগ করেছে। তারা এখন গ্রামাঞ্চলের পুরুজ্জীবনের অন্যতম প্রাণশক্তি।
লংহ্য জেলার তুংচুয়াংপিং গ্রামের পুনরুজ্জীবনের বহুমুখী কার্যক্রম বাস্তাবায়নের কাজ এখনও চলছে। এ প্রকল্পে অংশগ্রহণকারী ৩৭ বছর বয়সের লেখক স্যু পেং বিদেশ থেকে পড়াশোনাশেষে গ্রামে এসে নতুন ধরনের কৃষক হিসেবে জীবন শুরু করেন। তিনি গ্রামাঞ্চলে বাড়িঘর ভাড়া করেন এবং স্থানীয় গ্রামের কর্মকর্তাদের সাথে গ্রামের উন্নয়নে নিজের অবদান রাখেন।
গত বছরের শেষ দিকে স্যু পেং তুংচুয়াংপিং গ্রামে আসেন। স্থানীয় সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশ তাঁর জন্য অনেক আকর্ষণীয় ব্যাপার ছিল। তিনি খেয়াল করেন যে, গ্রামের অধিকাংশ যুবক অন্যান্য শহরে চাকরি করছেন। পিতামাতার সাথে না-থাকা বাচ্চার সংখ্যাও অনেক বেশি। তখন তিনি ৭ লাখেরও বেশি ইউয়ানের ‘শিক্ষা তহবিল’ গঠন করেন। তাঁর কয়েক জন বন্ধুও বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হয়েছেন। তাদের যৌথ প্রয়াসে তুংচুয়াংপিং গ্রামের উন্নয়নে পরিকল্পনা রচিত হয়, অবকাঠামো উন্নত হয়, এবং পিতামাতা থেকে আলাদা থাকা বাচ্চাদের যত্ন নেওয়ার সুবিধা সৃষ্টি করা হয়।
এ সম্পর্কে স্যু পেং বলেন, “আমরা বাচ্চাদের বই দেই, তাদের নিয়ে বড় শহরে ঘুড়তে যাই, গ্রামাঞ্চলের রাস্তা মেরামত করি। এখন অনেক যুবকর্মী জন্মস্থানে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন এবং এ বহুমুখী কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন। আমরা শিক্ষা তহবিলের মাধ্যমে আরও বেশি লোককে প্রশিক্ষণ দিতে সক্ষম। এ গ্রামের ভবিষ্যত আরও সুন্দর হবে।”