গত ১০ বছরে চীনের কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে শিক্ষা কার্যক্রমের সংস্কার ও উন্নয়ন প্রসঙ্গ
চীনের শিক্ষার মান বিশ্বমানের কাছাকাছি পৌঁছেছে। ২০১৪ সালে চীনের প্রাথমিক স্কুলসহ বিভিন্ন পর্যায়ে শিক্ষার্থী ভর্তির হার বিশ্বের উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশগুলোর গড় হারের চেয়ে বেশী ছিল। তা ছাড়া, শিক্ষা সমাজ ও অর্থনীতির উন্নয়নেও রাখছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। চীনের কারিগরি শিক্ষা খাতে প্রতিবছর বিভিন্ন পেশার এক কোটি লোক প্রশিক্ষণ পাচ্ছেন। গত ৫ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক শিক্ষার্থীদের মধ্যে পেশাদার দক্ষ ব্যক্তি সৃষ্টি হয়েছে প্রায় ২ কোটি। তারা চীনের উচ্চ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং নবোদিত শিল্পের উন্নয়নে প্রাণশক্তি যুগিয়েছেন।
শিক্ষা খাতে চীনের আন্তর্জাতিক প্রভাবও বেড়েছে। চলতি বছরের ১৮ই ফেব্রুয়ারি বিশ্বের অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থার এক জরিপ থেকে জানা গেছে, চীনের শাংহাই মহানগরের শিক্ষকদের যোগ্যতা বিশ্বমানের। তাদের পেশাগত মান, শিক্ষাগত বৈচিত্র্য, আন্তর্জাতিক গড় মানের চেয়ে বেশি। শাংহাইয়ের মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষার্থীরাও দু’বার বিশ্বের শীর্ষস্থানে উঠে আসে। চীনে আসা বিদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যাও ধাপে ধাপে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটাও চীনের শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নের প্রতীক।
আরেকটি গল্প এখানে শেয়ার করতে চাই। গত ১০ বছরের মধ্যে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং কমপক্ষে ১৫ বার বিভিন্ন খাতের সাধারণ মানুষের সাথে চিঠিপত্র আদানপ্রদান করেছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন যুব শিক্ষার্থী, তৃণমূলের সিপিসি’র সদস্য, সীমান্ত এলাকার চীনা সৈন্য, এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।
চীনের মিনজু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষার্থীদের চিঠির জবাবে সি চিন পিং ছাত্রছাত্রীদেরকে বিভিন্ন জাতির সেরা সংস্কৃতি মনোযোগ দিয়ে শেখার তাগিদ দেন।
বেইজিং নোর্মল বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিনারে কুইচৌ প্রদেশের শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে লেখা চিঠিতে সি আশা করেন যে, শিক্ষকরা দেশের পশ্চিমাঞ্চলের শিক্ষার মান উন্নয়নে নিজেদের অবদান রাখবেন।