গত ১০ বছরে চীনের কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে শিক্ষা কার্যক্রমের সংস্কার ও উন্নয়ন প্রসঙ্গ
আগের কোনো কোনো অনুষ্ঠানে আমরা বিভিন্ন দিক থেকে চীনের শিক্ষা-কার্যক্রমের উন্নয়ন ও পরিবর্তনের তথ্য তুলে ধরেছি। এ ব্যাপক পরিবর্তনের সাথে চীনের কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। বিশেষ করে, গত ১০ বছরে চীনের শিক্ষা খাতের ব্যাপক উন্নতি অন্যান্য সময়ের তুলনায় ছিল অধিক দ্রুত ও কার্যকর। আজকের আসরের শুরুতে এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।
২০১৩ সালের ২৫শে সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সদরদপ্তরে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ঘোষণা করেন, চীনের ১৩০ কোটি মানুষকে (বর্তমানে ১৪০ কোটি) আরও ভালো ও সমমানের শিক্ষার সুযোগ দিতে চেষ্টা করবে চীনের সরকার। সেটি প্রত্যেক চীনার সুখী জীবনের স্বপ্ন পূরণের আরম্ভ বলা যায়। এ আত্মবিশ্বাসের সাথে দেশের উন্নয়নের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। সেটি ছিল তখনকার চীনের নতুন সরকারের প্রতিশ্রুতি।
২০১২ সালের নভেম্বর মাসে যখন নতুন পর্যায়ের কেন্দ্রীয় সরকারের পলিট ব্যুরোর স্থায়ী সদস্যরা চীনাদের সামনে এসে দাঁড়ান, তখন চীনা প্রেসিডেন্ট সি ‘১০টি আরও ভালো উদ্যোগ’ পেশ করেন। এগুলোর মধ্যে ‘আরও ভালো শিক্ষা’ ছিল শীর্ষস্থানে।
প্রশ্ন হচ্ছে: কী ধরনের শিক্ষা সবচেয়ে ভালো? এ সম্পর্কে সি বলেন, ‘সবার সমান শিক্ষার সুযোগ পাওয়া, চমত্কার জীবন কাটানো, সভ্যতার উত্তরাধিকার করা, পরিষেবা খাতে নব্যতাপ্রবর্তন, এবং জাতির উন্নয়নে নবচেতনার যোগান’ যে-শিক্ষায় নিশ্চিত করা যায়, সেটাই সবচেয়ে ভালো শিক্ষা।
গত ১০ বছরে চীনা প্রেসিডেন্ট সি’র নেতৃত্বে চীনের বৈশিষ্ট্যময় ও বিশ্বমানের আধুনিক শিক্ষা-কার্যক্রম সামনে এগিয়ে গেছে; সমান ও গণগত মানসম্পন্ন শিক্ষার জন্য সৃজনশীলতা ও সমন্বয়ের মাধ্যমে শিক্ষা খাতের সংস্কার ও উন্নয়ন বাস্তবায়িত হয়েছে। পাশাপাশি, গণজীবিকার চাহিদা বিবেচনা করেও শিক্ষার উন্নয়ন ঘটানো হয়েছে।
শিক্ষা চীনের উন্নয়নের ভিত্তি। জ্ঞান ও প্রতিজ্ঞাসমৃদ্ধ চীনারা আরও সুন্দরভাবে নিজেদের স্বপ্ন পূরণ করতে সক্ষম। সেটি চীনা জাতির সুন্দর স্বপ্ন বাস্তবায়নের ভিত্তি।