গত ১০ বছরে চীনের কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে শিক্ষা কার্যক্রমের সংস্কার ও উন্নয়ন প্রসঙ্গ
শিক্ষার্থীদের দক্ষতা জোরদার করতে চাইলে অবশ্যই শিক্ষকদের পড়াশোনা ও প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। শিক্ষা মানবজাতির বর্তমান ও ভবিষ্যতের ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। তাই পুরনো জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা অর্জনের পাশাপাশি শিক্ষকদের নতুন জ্ঞান ও তথ্য জানতে হবে। এভাবে আরও ভালো করে বিশ্বকে জানতে হবে, পরিবর্তনের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে হবে।
আসলে বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বহুমুখী শক্তির প্রতিযোগিতার মূল বিষয় দক্ষ ব্যক্তিদের মধ্যে প্রতিযোগিতা। দক্ষ ব্যক্তি সমাজ ও অর্থনীতির উন্নয়নের মূল সম্পদ। চীনের দুটি ‘শতাধিক বছরের লক্ষ্যমাত্রা’ বাস্তবায়নের মূল পদ্ধতিও দক্ষ ব্যক্তি ও গুণগত মানের শিক্ষার ওপর নির্ভর করে।
আজকের চীনে রয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম শিক্ষা-কার্যক্রম। এ দেশে জনগণের জন্য আরও ভালো ও সমান শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টির কাজ এগিয়ে চলেছে।
একটি জনতানির্ভর রাজনৈতিক পার্টি হিসেবে সিপিসি কিভাবে শিক্ষার আধুনিকায়নে দক্ষ ব্যক্তিদের কাজে লাগাতে পারে? কিভাবে বিশ্বের পাঁচ ভাগের এক ভাগ লোকসংখ্যার সৃজনশীলতাকে উত্সাহিত করা যায়? কিভাবে পাশ্চাত্যের সামাজিক ব্যবস্থার সাথে ভিন্ন উন্নয়নের পথ খুঁজে পাওয়া যায় এবং এ প্রক্রিয়ায় চীনাদের চেতনা ও আধ্যাত্মিকতার চর্চা অব্যাহত রাখা যায়? সিপিসি-কে এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে নিতে হয়েছে।
শিক্ষার স্কেল উন্নত করার পর শিক্ষার মান কিভাবে নিশ্চিত করা যায় এবং শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর পর কিভাবে সমতা ও কার্যকারিতা নিশ্চিত করা যায়? উচ্চশিক্ষা গ্রহণকারীর সংখ্যা যত বাড়বে শিক্ষা-কাঠামোতে সমন্বয়ও তত জরুরি ব্যাপার হবে। দ্রুত শহরায়নের ফলে শিক্ষিত লোকজনের শহরমুখী অভিবাসনও অনেক বেড়েছে। তা ছাড়া, অর্থনীতির বিশ্বায়নে বৈদেশিক বিনিময় ও সহযোগিতাও জরুরি বিষয়। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের বিস্তারিত সংস্কার ও সুবিধাজনক নীতিমালা প্রয়োজন।