নান্দনিক শিক্ষার ওপর আরও বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে চীন
তাঁর প্রধান কাজ ছিল লেসিয়ান গ্রামের দশটিরও বেশি পুরনো বাড়িঘর নতুন করে ডিজাইন করে পর্যটকদের জন্য হোটেল হিসেবে গড়ে তোলা। এ সম্পর্কে কারুশিল্পী ইয়ো বলেন, পুরনো বাড়িঘরের মেরামত ও নির্মাণকাজের ব্যবসার চাহিদা বিবেচনা করা প্রয়োজন। স্থানীয় সংস্কৃতি ও রীতিনীতি বিবেচনায় রেখে ও পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে, এ কাজ আঞ্জাম দিতে হবে।
প্রাচীনকাল থেকে লেসিয়াং গ্রাম তুং জাতিঅধ্যুষিত এলাকা। এখানে গ্রামীণ পরিবারের সংখ্যা ২৭২টি এবং লোকসংখ্যা ১১ হাজারেরও বেশি। স্থানীয় গ্রামবাসীরা পিপা গান গাওয়া, বাদ্যযন্ত্র বাজানো, এবং মাছ ধরাসহ বিভিন্ন রীতিনীতি অনুসরণ করে থাকে। প্রাচীনকাল থেকে এখানে গম প্রক্রিয়াকরণ, তৌফু তৈরি, কাপড়চোপড় বানানোসহ বিভিন্ন পেশার সঙ্গে জড়িত গ্রামবাসীরা। তাই স্থানীয় রীতিনীতি ও গ্রামীণ জীবনযাপনের পদ্ধতি বিবেচনা করে, পুরনো বাড়িঘরগুলো রূপান্তর করেছেন জনাব ইয়ো।
তা ছাড়া, শহরবাসীদের চাহিদা বিবেচনা করে গ্রামের বাড়িঘরের প্রাঙ্গণে দোলনা, পাব, ও খাবার বিতরণ ক্যাবিনেট স্থাপন করা হয়েছে। এমন ডিজাইনে পুরনো বাড়িঘরের স্থাপত্য বৈশিষ্ট্য বজায় রাখা হয়েছে। সাথে সাথে আধুনিক জীবনযাপন ও বিনোদনের চাহিদাও পূরণ করা হয়েছে।
৪৬ বছর বয়সের গ্রামবাসী উ সুং মিং গত ২০ বছর ধরে কাঠমিস্ত্রি হিসেবে কাজ করে আসছেন। প্রথমে পুরনো বাড়িঘরের মেরামত ও ডিজাইনের কাজ করতেন তিনি। এখন তিনি কারুশিল্পী ইয়ো’র সহকারী হিসেবে কাজ করেন। তাঁর অনুভূতি ও অভিজ্ঞতা সম্পর্কে তিনি বলেন, “আমরা হস্তকর্মশিল্পের কর্মী হিসেবে কেবল একটি নিয়ম অনুসরণ করে থাকি। আর সেটি হলো: প্রবীণ কর্মীরা যেভাবে আমাদের শিখিয়ে দেন, হুবহু সেভাবে কাজ করা। তাই কাঠ খোদাই হোক বা ডিজাইন হোক—আমরা আমরা সবসময় শিক্ষকের দেখানো পদ্ধতিতে কাজ করি।” তবে, কারুশিল্পী ইয়ো’র সাথে কাজ শুরু করার পর, তিনি গবেষণা ও ডিজাইনের মাধ্যমে পুরনো বাড়িঘরকে নতুন আকৃতি দেওয়ার পদ্ধতি শিখেছেন। এখন তার কাজে অনেক সৃজনশীলতার প্রতিফলন দেখা যায়।