নান্দনিক শিক্ষার ওপর আরও বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে চীন
সম্প্রতি চীনের ফুচিয়ান প্রদেশের রাজধানী ফুচৌ শহরের কুলৌ প্রাথমিক স্কুলে একটি বিশেষ সেমিনার আয়োজিত হয়। সেখানে স্থানীয় নান্দনিক শিক্ষার ফলাফল ও প্রভাব নিয়ে আলোচনা হয়। শিক্ষকরা প্রাথমিক স্কুলের নান্দনিক ক্লাসের পরিবর্তন ও সংস্কারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তারা বলেন, যৌথভাবে নৈতিকতাসহ নান্দনিক শিক্ষার মান উন্নত করতে হবে।
এ সম্পর্কে ফুচিয়ান প্রদেশের শিক্ষা বিভাগের পর্যবেক্ষক লি স্যুন বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নতুন পরিকল্পনা অনুসারে, বিভিন্ন স্কুলের নান্দনিক শিক্ষার বহুমুখী ও সমৃদ্ধ উন্নয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তাই নান্দনিক শিক্ষা কেবল কাগজে সুন্দর ছবি আঁকা বা সংগীতের সূর বাজানো নয়, বরং প্রত্যেকের হৃদয়ে সৌন্দর্য উপভোগ করার ক্ষমতা বাড়িয়ে দেওয়া এর মূল লক্ষ্য। কেবল শহরাঞ্চলের শিক্ষকরা বাচ্চাদের নান্দনিক শিক্ষা দেবেন, তা নয়, বরং গ্রামাঞ্চলের বাচ্চাদের জন্যও সমান নান্দনিক শিক্ষার সুযোগ থাকা প্রয়োজন।
পাহাড়াঞ্চলের পুরনো বাড়িঘর মেরামতকারী শিল্পীর গল্প
৬০ বছর বয়সের সিনিয়র চারু ও কারুশিল্পী ইয়ো শৌ ই টানা ৮ মাস ধরে চীনের কুইচৌ প্রদেশের পাহাড়াঞ্চলে পুরনো বাড়িঘর মেরামত করে আসছেন এবং গ্রামাঞ্চলের পুনরুজ্জীবনে নিজের অবদান রাখছেন। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, “গ্রামাঞ্চলের মেরামত ও নির্মাণকাজে গ্রামবাসীদের যুক্ত করা প্রয়োজন। কেবল গ্রামবাসীদের সাথে সুপরিচিত হওয়ার মাধ্যমে পুরনো বাড়িঘর মেরামত ও ডিজাইনের কাজ সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন করা যায়।” ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে কুইচৌ প্রদেশের মিয়াও ও তুং জাতিঅধ্যুষিত এলাকার রংচিয়াং জেলার আমন্ত্রণে তিনি উত্তরপূর্ব চীনের চিলিন প্রদেশ থেকে রংচিয়াং জেলার লেসিয়াং গ্রামে পৌঁছান এবং গ্রামটিকে একটি স্থানীয় বৈশিষ্ট্যময় গ্রামে পরিণত করার চেষ্টা শুরু করেন।