চীনের ইয়ুননান প্রদেশের পাহাড়াঞ্চলের শিক্ষক ইয়াং জিং তিয়ানের গল্প
সকাল সাড়ে ৮টায় ল্যাপটপ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে এসেছে মেয়ে লিয়াং মু। এখানে সহপাঠী ও শিক্ষকদের সাথে কর্মসংস্থান খোঁজার অভিজ্ঞতা ও খবর সম্পর্কে তার তথ্য-বিনিময় হয়। নিজের কর্মসংস্থানের সুযোগ সম্পর্কে সে বলল, কয়েক দিন আগে লিউচৌ শহরের একটি মিডিয়ার অফার পেয়েছে, কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে চাকরি পাবার আগে তাকে কমপক্ষে ৬ মাসের ইন্টার্নশিপ করতে হবে। সে ভাবল, ইন্টার্নশিপ শেষ করার পর যদি সে কোম্পানির চাকরি আনুষ্ঠানিকভাবে না-পায়, তাহলে তার ভবিষ্যতের কর্মসংস্থান অনিশ্চিত হয়ে যাবে। তাই লিউচৌ শহরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত বাদ দেয়। দ্বিতীয় বারের মতো মাস্টার্স ডিগ্রীর জন্য আবেদনের চেষ্টা করবে কি না, এ সম্পর্কে সে বলল, চলতি বছর সে মাস্টার্সে পড়তে পারেনি। এখন যদি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না-করে আরেকবার পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে ব্যর্থ হয়, তবে সেটা হবে তার জন্য বিপর্যয়ের মতো। তাই সে কর্মসংস্থানের সুযোগ খুঁজতে আরও বেশি প্রচেষ্টা চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
আসলে গত বছরের শরত্কালীন কর্মসংস্থান মেলায় অংশগ্রহণকারী স্নাতক শিক্ষার্থীরা মেয়ে লিয়াংমু’র চেয়ে আরো সহজে চাকরি পেতে পারে। কারণ, তাদের প্রস্তুতির সময় আরো বেশি এবং কর্মসংস্থান বাজার সম্পর্কে তাদের জানাশোনাও বেশি। ছেলে সিয়াওও গত শরত্কাল থেকে চলতি বছরের বসন্তকাল পর্যন্ত বিভিন্ন কোম্পানিতে ৪০টিরও বেশি সিভি পাঠিয়েছে। তার মেজর বিজ্ঞাপন। কয়েকটি কোম্পানি তাকে জবাব দিয়েছে। তবে সে কয়েকটি সাক্ষাত্কার দেওয়ার পর পছন্দের চাকরি খুঁজে পায়নি। তাই এখনও চাকরির ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। এখন সে চাকরি খোঁজার পাশাপাশি মাস্টার্স ডিগ্রীর জন্য পরীক্ষার প্রস্তুতিও নিচ্ছে।
তবে মাস্টার্স ডিগ্রীর শিক্ষার্থীদের জন্য কর্মসংস্থানের চাপ কম নয়। ছেলে কু সিং তৃতীয় বর্ষের মাস্টার্স শিক্ষার্থী হিসেবে গত সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ৪৩টি সিভিও পাঠিয়েছে বিভিন্ন কোম্পানিতে। তবে এখনও কোনো পছন্দের অফার পায়নি। স্নাতক হওয়ার পর সে কুয়াংসি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের সরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে চায়, কারণ বেসরকারি কোম্পানির তুলনায় সরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরি অধিক স্থিতিশীল।