চীনের ইয়ুননান প্রদেশের পাহাড়াঞ্চলের শিক্ষক ইয়াং জিং তিয়ানের গল্প
পাহাড়াঞ্চলের বাচ্চাদের জন্য অর্কেস্ট্রা গঠন করা খুবই মজার ও আকর্ষণীয় ব্যাপার। তাই স্কুলের কর্তৃপক্ষ ও ছাত্রছাত্রীদের ব্যাপক সমর্থন পেয়েছেন শিক্ষক ইয়াং। তাঁর প্রচেষ্টায় স্কুলের ২৬ জন ছাত্রছাত্রী নিয়ে একটি অর্কেস্ট্রা গঠিত হয়, যার নাম ‘ছিউহাইচিন’ অর্কেস্ট্রা দল। নামটি নেওয়া হয়েছে শিক্ষক ইয়াংয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের গীতিনাট্যের নাম থেকে। ওই নাটকে সংগীতের প্রতি আগ্রহী বাচ্চাদের গল্প তুলে ধরা হয়েছে। তাই তিনি এ নামটি পছন্দ করেন।
ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী চৌ আই সিয়াং ‘ছিউহাইচিন’ অর্কেস্ট্রা দলের প্রধান এবং দলের পিয়ানোবাদক। খুবই আকস্মিক সুযোগে শিক্ষক ইয়াং’র পিয়ানোর সুর শুনে পিয়ানো শেখার প্রতি আগ্রহ অনেক বেড়ে যায় মেয়ে চৌ আই সিয়াংয়ের। শিক্ষক ইয়াং’র সাহায্যে শূন্য থেকে পিয়ানো বাজানো শিখতে শুরু করে সে। দেড় বছর পর মেয়ে চৌ পিয়ানো বাজানোর ক্ষেত্রে যথেষ্ট দক্ষতা অর্জন করে। ২০২১ সালে মেয়ে চৌ আই সিয়াং অর্কেস্ট্রা দলের প্রতিনিধি হিসেবে রাজধানী বেইজিংয়ে আসে এবং আন্তর্জাতিক সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। শিক্ষক ইয়াং’র প্রত্যাশা ও নিজের প্রচেষ্টায় চৌ সাফল্যের সঙ্গে অনলাইনে প্রতিযোগিতার প্রাথমিক পর্যায় অতিক্রম করে এবং ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে অপেশাদার শিশু দলের পিয়ানো বিভাগের স্বর্ণপদক লাভ করে।
যদিও সংগীত বেশ সুন্দর ও উপভোগ্য ব্যাপার, তবে বাদ্যযন্ত্র চর্চার প্রক্রিয়া অনেক ক্লান্তিকর ও বোরিং। কেবল বারবার একই সুর চর্চা করে করে একসময় সুন্দর ও চমত্কারভাবে বাদ্যযন্ত্র বাজানো শেখা যায়। বাদ্যযন্ত্র শেখা শুরু কয়েক বছরের মধ্যে অনেক ছাত্রছাত্রীর আগ্রহ কমে যায়। তাই বাদ্যযন্ত্র শেখার প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ ধরে রাখথে শিক্ষক ইয়াংকে বিশেষ উত্সাহব্যঞ্জক পদ্ধতি আবিষ্কার করতে হয়।