চীনের ইয়ুননান প্রদেশের পাহাড়াঞ্চলের শিক্ষক ইয়াং জিং তিয়ানের গল্প
চীনের দূরবর্তী এলাকা ও পাহাড়াঞ্চলের বাচ্চাদের গুণগত মানসম্পন্ন শিক্ষা দেওয়া সংশ্লিষ্ট চীনা শিক্ষকদের লক্ষ্য। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, চীনের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে, বড় শহরের বিভিন্ন পর্যায়ের স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক শিক্ষার্থীদের দিয়ে দূরবর্তী এলাকার শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদানের কাজ চলছে। যারা পাহাড়াঞ্চলে নির্দিষ্ট মেয়াদে শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছেন, তারা শহরের স্কুলে ফিরে আসার পর পদোন্নতি পান ও তাদের বেতনও বাড়ে। তাদেরকে অন্যান্য বিশেষ সুযোগ-সুবিধাও দেওয়া হয়। আজকের আসরে চীনের ইয়ুননান প্রদেশের তালি শহরের পাই জাতিঅধ্যুষিত এলাকার পিনছুয়ান জেলার একটি প্রাথমিক স্কুলের অর্কেস্ট্রা-শিক্ষক ইয়াং জিং তিয়ান এবং তাঁর সংগীতদলের বাচ্চাদের গল্প তুলে ধরবো।
শিক্ষক ইয়াং জিং তিয়ানের বয়স মাত্র ৩৭ বছর। তিনি উত্তরপূর্ব চীনের নোর্মল বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত একাডেমি থেকে স্নাতক ডিগ্রি নিয়েছেন। ভালো পিয়ানো, বাঁশি ও ড্রাম বাজাতে পারেন তিনি। তিনি কয়েকটি প্রামাণ্যচিত্র ও সিনেমার জন্যও বাদ্যযন্ত্র বাজিয়েছেন। নোর্মল বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন স্নাতক শিক্ষার্থী হিসেবে চীনের দূরবর্তী এলাকায় স্বেচ্ছাসেবক শিক্ষকের কাজ করা তাঁর একটি স্বপ্ন ছিল। ২০২০ সালে সুযোগ পেয়ে তিনি ইয়ুননান প্রদেশের তালি শহরের পিনছুয়ান জেলার একটি প্রাথমিক স্কুলে এসে সেখানকার ছাত্রছাত্রীদের সংগীতের শিক্ষক হিসেবে কাজ করতে শুরু করেন।
এ অর্কেস্ট্রা শূন্য থেকে গড়ে ওঠে। এ সম্পর্কে শিক্ষক ইয়াং বলেন, বস্তুত এ স্কুলের অনেক বাচ্চা কখনও বাদ্যযন্ত্র দেখারই সুযোগ পায়নি। তাই অর্কেস্ট্রা গঠনের জন্য বাচ্চাদের সর্বপ্রথমে বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র সম্পর্কে জানানো ও সেসম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া জরুরি ছিল। এভাবে সংগীতের প্রতি বাচ্চাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করাও সম্ভব ছিল।