চীনের ইয়ুননান প্রদেশের পাহাড়াঞ্চলের শিক্ষক ইয়াং জিং তিয়ানের গল্প
গত দুই বছরের স্বেচ্ছাসেবক শিক্ষক কর্মজীবনে আরো অনেক ছাত্রছাত্রীকে সংগীতের প্রতি আগ্রহী করে তোলেন তিনি। তাদের সংগীতের স্বপ্ন বাস্তবায়নে তারা নিজেরাও প্রচেষ্টা চালিয়েছে। পাহাড়াঞ্চলের বাচ্চাদের জন্য এটি জীবনের শ্রেষ্ঠ স্মৃতি ও অর্জন।
২০০০ সালের পর জন্মগ্রহণকারীদের কর্মসংস্থানের সময় এসেছে
চলতি বছর চীনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক শিক্ষার্থীদের সংখ্যা প্রথমবারের মতো এক কোটি ছাড়িয়ে গেছে। তবে কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে সারা বিশ্বের অর্থনীতি মন্দায় পড়েছে এবং মহামারীর প্রাদুর্ভাব কবে শেষ হবে তা এখনও কেউ জানে না। তাই স্নাতক শিক্ষার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ। চলতি বছর স্নাতক শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই ২০০০ সালের পর জন্মগ্রহণ করেছে। তারা নতুন প্রজন্মের চীনা কিশোর-কিশোরী। তাই তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়াতে কেন্দ্রীয় সরকার থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রদেশের সরকার ও সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নানান উদ্যোগ নিয়েছে।
চাকরি খুঁজে পাওয়ার জন্য স্নাতক শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন পদ্ধতিতে নিজেদের প্রচেষ্টা চালায়। মেয়ে লিয়াং মু তাদের মধ্যে একজন। এখন সে কুয়াংসি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবাদ ও সম্প্রচার একাডেমির চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। বিস্তারিত বিবেচনা ও বিশ্লেষণের পর সে বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স ডিগ্রীর জন্য ভর্তির আবেদনের সিদ্ধান্ত নেয়। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে সে জানতে পারে যে, তার প্রথম পরীক্ষার স্কোর প্রয়োজনের তুলনায় বেশি। তাই সে আত্মবিশ্বাসের সাথে মাস্টার্স ডিগ্রীর ফাইনাল পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেয়। তবে, পরে দেখা গেল যে, তাঁর ফাইনাল পরীক্ষার স্কোর যথেষ্ট নয়। মার্চ মাসের শেষ দিকে নতুন চাপের মুখোমুখী হয় সে। গত বছরের শরত্কালে মাস্টার্সে পড়াশোনার জন্য সে কর্মসংস্থানের কোনো নিবন্ধন মেলায় অংশ নেয়নি। ফলে এখন কম সময়ের মধ্যে চাকরি খুঁজে পাওয়ার চাপে পড়েছে সে। এপ্রিল মাসে সে স্কুলের অনলাইন মেলায় অংশ নেয়। সেখানে ৯০০০টিরও বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ আছে। কিন্তু নিজের সিভি পাঠানোর পর কোনো জবাব পায়নি।