চীনা শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা ‘কাওখাও’
ছাওইয়াং এলাকার একটি হোটেলের মিটিং রুমকে ৩০ জন শিক্ষার্থীর জন্য বিশেষ পরীক্ষাকক্ষে রূপান্তর করা হয়। তাদের স্কুল থেকে টেবিল, চেয়ার ও কালো বোর্ডও হোটেলে নিয়ে আসা হয়। পরীক্ষাকক্ষের পর্যাপ্ত আলো নিশ্চিত করতে প্রতিটি টেবিলের পাশে বাতিও স্থাপন করা হয়। তা ছাড়া, হোটেলের প্রতিটি রুমে টুসব্রাস ও তোয়ালেসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য রাখা হয়। সকল শিক্ষার্থী ও শিক্ষককে পরীক্ষার আগে ১৪ দিন স্বাস্থ্য পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। পরীক্ষা চলাকালেও প্রত্যেককে মাস্ক পরতে হয়েছে।
চীনের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর কাওখাও পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১ কোটি ১৯ লাখ ৩০ হাজারের বেশি, যা গত বছরের তুলনায় ১১ লাখ ৫০ হাজার বেশি। গোটা চীনে কাওখাও পরীক্ষাকক্ষের সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৩০ হাজারটি, পরিদর্শক-শিক্ষকের সংখ্যা ছিল ১০ লাখ ২০ হাজার জনেরও বেশি।
বিভিন্ন প্রদেশে পরীক্ষার সময় ছিল ৭ই জুন থেকে ১০ই জুনের মধ্যে। তবে শাংহাই মহানগর কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে কাওখাও পরীক্ষার সময় এক মাস পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং উচ্চবিদ্যালয়ের স্নাতক পরীক্ষার সময় ১৮ থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আসলে, যদিও চীনের বিভিন্ন প্রদেশের কাওখাও পরীক্ষার সময় প্রায় একই, তবে পরীক্ষাপত্র পুরোপুরি আলাদা। যেমন বেইজিং, শাংহাই, কুয়াংতুং আর হুপেইয়ের বিভিন্ন এলাকার পরীক্ষাপত্রের বিষয় ভিন্ন। গণিত, চীনা ভাষা, ইংরেজি ইত্যাদি বিষয় এক হলেও পরীক্ষাপত্র ভিন্ন। চীনের হুপেই এবং শানতুংসহ কয়েকটি প্রদেশের ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা অন্যান্য প্রদেশের চেয়ে বেশি। তাই এমন স্থানের পরীক্ষাপত্র বেইজিং এবং শাংহাইয়ের চেয়ে আরো কঠিন হয়। ছাত্রছাত্রীদের ভর্তির সংখ্যাও তুলনামূলকভাবে একটু কম। তাই আমাদের সময় আমরা কাওখাও পরীক্ষার আগে শানতুং ও হুপেইয়ের অতীতকালের বহু পরীক্ষাপত্র সমাধান করেছি। তখন খেয়াল করেছি যে, একই ইউনিটের বেইজিংয়ের পরীক্ষাপত্রের অধিকাংশ প্রশ্নের জবাব দিতে পারি, তবে হুপেই আর শানতুং প্রদেশের পরীক্ষাপত্রের অনেক বিষয় সঠিক উত্তর দিতে পারি না। তাই বলা যায়, অতীতকালে কাওখাও পরীক্ষার প্রতিযোগিতা অনেক কঠিন ছিল আর ছাত্রছাত্রীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির হারও বর্তমানের চেয়ে অনেক কম ছিল।