চীনা শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা ‘কাওখাও’
পরীক্ষা শেষ করার পর বিভিন্ন প্রদেশের শিক্ষকরা ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষাপত্রের বিচার কাজ শুরু করেন। বিভিন্ন প্রদেশের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে জুন মাসের শেষ সপ্তাহে পরীক্ষার ফাইনাল ফলাফল প্রকাশিত হবে। ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের পরীক্ষার ফলাফল জেনে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে পারবে। বেইজিংয়ের ছাত্রছাত্রীরা ২৭ই জুন থেকে পয়লা জুলাই পর্যন্ত নিজেদের উচ্চবিদ্যালয়ের মাধ্যমে সবচেয়ে প্রিয় বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজের তালিকা জমা দিতে পারবে।
পরীক্ষার স্কোর্স অতি গুরুত্বপূর্ণ, তবে নিজের ভবিষ্যতের কর্মসংস্থানের জন্য একটি উপযোগী মেজর বা বিশ্ববিদ্যালয় বেছে নেওয়ার আরো বেশি বুদ্ধিমানের পরিচয়। তাই ছাত্রছাত্রীদের উচিত নিজের সবচেয়ে প্রিয় বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের তালিকা করার আগে সতর্ক থাকা। ১০টি বিশ্ববিদ্যালয় ও ১০টি কলেজের নাম বেছে নেওয়া যায়। যদি আবেদনকারী তালিকায় স্থান পাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিপত্র পায়, তাহলে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় যাওয়ার সুযোগ আর থাকবে না। তাই ওই বিশ্ববিদ্যালয় না গেলে পুনরায় নতুন বছরের কাওখাও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। সেটি দুঃখজনক ব্যাপার, এমন সিদ্ধান্ত এড়ানো উচিত।
আসলে কাওখাও পরীক্ষা চালুর আগে উচ্চবিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারে ছাত্রছাত্রীদের প্রতিদিনের কাজ ছিল বিভিন্ন মেজরের ভিন্ন প্রদেশের পরীক্ষাপত্র সমাধান করা। বিভিন্ন পরীক্ষাপত্র থেকে ভুল উত্তর সংশোধন করে কাওখাও পরীক্ষার জন্য যথেষ্ঠ প্রস্তুতি নেওয়াই ছিল তখন বড় কাজ। কাওখাও পরীক্ষা জুন মাসে আয়োজনের আগে মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে দু’বার মক পরীক্ষা চালু হয়। এর মাধ্যমে নিজেদের কাওখাও পরীক্ষার ফাইনালের জন্য প্রস্তুত করে নেওয়া যেতো।
মোদ্দাকথা, কাওখাও চীনা ছাত্রছাত্রীদের জীবনে অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি পরীক্ষা। সেটি তাদের জীবনে তাত্পর্যপূর্ণ প্রভাব ফেলে। তাই শিক্ষার্থীরা একবার পরীক্ষা পাস করে উপযোগী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য চেষ্টা করে। অভিভাকরাও উপযোগী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেজর বেছে নেওয়ার ব্যাপারে পরামর্শ দিয়ে থাকেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নতুন নতুন পেশার আবির্ভাব ঘটেছে। অনেক মেজরও নতুন এসেছে। এসব মেজরে পড়াশুনা শেষ করে সহজে চাকরি পাওয়া যায়।