বাংলা

চীনা শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা ‘কাওখাও’

CMGPublished: 2022-06-13 15:12:17
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

২০২২ সালের কাওখাও পরীক্ষার সঙ্গে অন্যান্য বছরের পরীক্ষার কিছু পার্থক্য রয়েছে। রাজধানী বেইজিংয়ের অবস্থা উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা যায়। কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে বেইজিংয়ের কয়েকটি এলাকা এখনও লকডাউন আছে। তবে সেখানে অবস্থানরত ছাত্রছাত্রীদের সময়মতো কাওখাও পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য বিভিন্ন সুবিধাজনক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যারা নিয়ন্ত্রণ এলাকা বা লকডাউন এলাকায় আছে, তাদের জন্য বিশেষ গাড়ি পাঠানো হয়; গাড়ির মাধ্যমে নির্দিষ্ট পরীক্ষাকক্ষে তারা পৌঁছাতে সক্ষম হয়। কেউ কেউ একাই একটি ক্লাসরুমে পরীক্ষায় অংশ নেয় এবং পরীক্ষাশেষে বিশেষ গাড়িতে নিজের বাসায় ফিরে আসে।

এমন বিশেষ চাহিদা মেটাতে বেইজিংয়ের কিছু কিছু হোটেল বা হোস্টেল অস্থায়ী পরীক্ষাকক্ষে পরিণত হয়। পরীক্ষা চলাকালে খাওয়া-থাকা, যাতায়াত ও পরীক্ষাগ্রহণসহ বিভিন্ন সেবা দেওয়া হয়। বেইজিংয়ের ছাওইয়াং এলাকায় কয়েকটি লকডাউন আবাসিক কমিউনিটি রয়েছে। তাই এখানকার ছাত্রছাত্রীদের হোটেলে থাকতে হয়। হোটেলকে দুটি এলাকায় ভাগ করা হয়। একটি শিক্ষার্থীদের খাওয়া-থাকার চাহিদা মেটাতে পারে এবং আরেকটি এলাকায় কাওখাও পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। এভাবে তাদের পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে চলা নিশ্চিত করা হয়। এ সম্পর্কে বেইজিং ছাওইয়াং এলাকার রিথান মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষক ছিন লিয়ান চি বলেন, পরীক্ষা চলাকালে পরিদর্শক শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের শরীরের তাপমাত্রা মাপেন এবং বিভিন্ন চেকআপের কাজ করেন। তারপর পরীক্ষাকক্ষে তারা ঢুকতে পারে। হোটেলে শিক্ষার্থীদের জন্য সুপরিচিত স্কুলের পরিবেশ গড়ে তুলতে স্কুলের টেবিল ও চেয়ার হোটেলে হস্তান্তর করা হয়।

বেইজিং ফেংথাই এলাকার একজন পরিদর্শক-শিক্ষক বলেন, প্রতিটি পরীক্ষাকক্ষে সংশ্লিষ্ট পর্যবেক্ষক সরঞ্জাম স্থাপন করা হয় এবং প্রতিটি পরীক্ষাকক্ষে দুজন পরিদর্শকশিক্ষক রয়েছেন। হোটেলের রুম বেশ বড় নয়। তাই শিক্ষার্থীদের আরও মনোযোগ দিয়ে পরীক্ষা করার জন্য পরিদর্শকশিক্ষক শিক্ষার্থীদের সাথে দূরত্ব ২ মিটার বজায় রাখতে হয়। পরীক্ষা শেষে পরীক্ষাপত্র ও টেবিল চেয়ার জীবাণুমুক্ত করা হয় এবং পরীক্ষাপত্র খামের মধ্যে সীল করা হয়।

首页上一页1234全文 4 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn