চীনের ‘মাওতুন’ সাহিত্য পুরস্কার বিজয়ী ছেন ইয়ানের গল্প
তিনি প্রচুর খেটে মোট তিনটি উপন্যাস রচনা করেছেন। একটি উপন্যাসের নাম ‘মঞ্চ স্থাপন’। এতে থিয়েটারের মঞ্চ স্থাপনকারী শ্রমিকদের জীবন বর্ণনা করা হয়েছে। পাহাড়াঞ্চলের ছাগপালকের গলায় সুন্দর ‘ছিনছিয়াং সুর’ এবং তাদের জীবনের সুখ-দুঃখও উপন্যাসে বিস্তারিতভাবে উঠে এসেছে।
ছেন ইয়ানের লেখায় নাটকের মতো উদাহরণ দিতে পছন্দ করেন। তাঁর দৃষ্টিতে মঞ্চের মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন সমস্যা ও সুন্দর মুহূর্ত তুলে ধরা যায়। তিনি সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে তৃণমূলের লোকদের জীবনের ওপর বেশি মনোযোগ দেন। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘সমাজের শীর্ষস্থানে দাঁড়ানো লোকের সংখ্যা খুবই কম। কিন্তু তাদের সমর্থকশক্তি হিসেবে যারা আছেন, সেই সাধারণ মানুষের কথাও ভাবতে হবে। যদি সফল ব্যক্তিদের পিছনের বিরাট সমর্থকশক্তি এবং তাদের অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়া না হয়, তাহলে সেটা হবে একজন লেখকের জন্য বড় পরিতাপের বিষয়। সাধারণ মানুষেরা একটি সমাজের সুষম উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি।’ তাঁর উপন্যাস ‘মঞ্চ স্থাপন’ প্রকাশের পর, কেউ কেউ মন্তব্য করেন যে, তিনি তৃণমূলের মানুষদের ভাবমূর্তি সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমার লেখা অসহায় লোকদের সান্ত্বনা দিতে চায়, তাদের জীবনে কিছু উষ্ণতা ও সুখের ছোঁয়া দিতে চায়। আসলে সবার জীবনে অন্যদের প্রয়োজন, সবাই ভালোবাসা পেতে চায়।’
পেশাদার লেখক হিসেবে তিনি ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ করেছেন। তাঁর সাহিত্যজীবন সম্পর্কে ছেন ইয়ান বলেন, ‘আমার ছোটবেলা কেটেছে পাহাড়াঞ্চলের গ্রামে। তখন বই পড়ার সুযোগ খুবই কম ছিল।’ তবে চীনের বৈদেশিক উন্মুক্তকরণ ও সংস্কারনীতি চালুর পর বইয়ের দোকানে অনেক বই পাওয়া যেতে শুরু করে। তখন দেশ-বিদেশের অনেক শ্রেষ্ঠ উপন্যাস ও সাহিত্যের প্রতি তিনি আকৃষ্ট হন। শেক্সপিয়ারের রচনাবলী কেনার জন্য তিনি প্রায় আধা বছর অপেক্ষা করেছিলেন। কারণ, এ ধরনের দামি বই মাত্র দু’এটি দোকানে দু’এক সেট করে পাওয়া যেতো।’