চীনের ‘মাওতুন’ সাহিত্য পুরস্কার বিজয়ী ছেন ইয়ানের গল্প
গত ২৩ এপ্রিল ছিল ‘বিশ্ব পাঠ দিবস’। বই পড়ে মানুষ অনেক অনেক সুন্দর অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান অর্জন করতে পারে। বই পড়লে মানুষের কল্পনাশক্তি বাড়ে। নিয়মিত বই পড়তে বাস্তব জীবনের অনেক অভিজ্ঞতায়ও সমৃদ্ধ হওয়া যায়।
মাওতুন চীনের সুবিখ্যাত একজন লেখক। ১৯৮২ সালে ‘মাওতুন’ সাহিত্য পুরস্কার প্রবর্তণ করা হয়। এটি চীনের সাহিত্য খাতে সর্বোচ্চ পুরস্কারগুলোর অন্যতম। যারা ১ লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি অক্ষরের সাহিত্য বা উপন্যাস রচনা করেছেন, তারা মাওতুন পুরস্কারের জন্য আবেদনের যোগ্য। এ পর্যন্ত চীনের প্রায় ৫০ জন সেরা লেখক এ পুরস্কার লাভ করেছেন। লেখক ছেন ইয়ান তাঁদের মধ্যে একজন। আজকের আসরে চীনের ‘মাওতুন’ সাহিত্য পুরস্কার বিজয়ী ছেন ইয়ানের গল্প তুলে ধরবো।
ছেন ইয়ান মূলত মঞ্চনাটকের লেখক ছিলেন। তিনি চীনের শাআনসি প্রদেশের অপেরা গবেষণাগারে ২০ বছরের বেশি সময় ধরে চিত্রনাট্যকার হিসেবে কাজ করেছেন এবং তাঁর নাটক ও অপেরা চীনের অপেরা মহলে বেশ জনপ্রিয়। চীনের ‘ছাও ইয়ু অপেরা সাহিত্য পুরস্কার’ লাভ করেছেন তিনি। ২০১৯ সালে অপেরার গল্পের ভিত্তিতে তিনি উপন্যাস রচনা করেন এবং এ উপন্যাস ‘মাওতুন সাহিত্য পুরস্কার’ লাভ করে।
সাহিত্যে তিনি অনেক পুরস্কার পেয়েছেন। এসবই লেখক ছেন ইয়ানের পরিশ্রম ও সৃজনশীলতার ফসল। অবসর সময়ে তিনি মন দিয়ে মানুষের জীবন পর্যবেক্ষণ করেন, গল্পের প্লট খোঁজেন। চীনের গ্রামাঞ্চলের শ্রমিকদের গল্প তুলে ধরতে তিনি একাধিকবার সি’আন শহরের গ্রামীণ শ্রমিকদের আবাসিক এলাকা সফর করেন। এর পর প্রায় সাড়ে তিন বছর খেটে তিনি তাদের জীবন নিয়ে একটি উপন্যাস রচনা করেন। উপন্যাস লেখাশেষে তিনি মোট ৭ বার সেটি সংশোধনও করেন।
এ সম্পর্কে ছেন বলেন, ‘লেখকদেরকে গভীরভাবে জীবন উপলদ্ধি করতে হয়। কেবল বই পড়ে কোনো একটি অঞ্চলের সার্বিক পরিস্থিতি জানা গেলেও, সেখানকার প্রাণচঞ্চল জীবনের দৃশ্য ফুটিয়ে তোলা সম্ভব নয়।’ তিনি বলেন, ‘কৃষিক্ষেতে গিয়ে জীবনের দৃশ্য পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন। এভাবেই সত্যিকারের দৃশ্যের বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া সম্ভব। লেখকের উপন্যাসে যদি তাঁর অপরিচিত কোনো জীবনের বর্ণনা থাকে, তবে তা পাঠকদের কাছে অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে।’