বাংলা

চীনের ‘মাওতুন’ সাহিত্য পুরস্কার বিজয়ী ছেন ইয়ানের গল্প

CMGPublished: 2022-05-09 15:28:12
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

গত ২৩ এপ্রিল ছিল ‘বিশ্ব পাঠ দিবস’। বই পড়ে মানুষ অনেক অনেক সুন্দর অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান অর্জন করতে পারে। বই পড়লে মানুষের কল্পনাশক্তি বাড়ে। নিয়মিত বই পড়তে বাস্তব জীবনের অনেক অভিজ্ঞতায়ও সমৃদ্ধ হওয়া যায়।

মাওতুন চীনের সুবিখ্যাত একজন লেখক। ১৯৮২ সালে ‘মাওতুন’ সাহিত্য পুরস্কার প্রবর্তণ করা হয়। এটি চীনের সাহিত্য খাতে সর্বোচ্চ পুরস্কারগুলোর অন্যতম। যারা ১ লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি অক্ষরের সাহিত্য বা উপন্যাস রচনা করেছেন, তারা মাওতুন পুরস্কারের জন্য আবেদনের যোগ্য। এ পর্যন্ত চীনের প্রায় ৫০ জন সেরা লেখক এ পুরস্কার লাভ করেছেন। লেখক ছেন ইয়ান তাঁদের মধ্যে একজন। আজকের আসরে চীনের ‘মাওতুন’ সাহিত্য পুরস্কার বিজয়ী ছেন ইয়ানের গল্প তুলে ধরবো।

ছেন ইয়ান মূলত মঞ্চনাটকের লেখক ছিলেন। তিনি চীনের শাআনসি প্রদেশের অপেরা গবেষণাগারে ২০ বছরের বেশি সময় ধরে চিত্রনাট্যকার হিসেবে কাজ করেছেন এবং তাঁর নাটক ও অপেরা চীনের অপেরা মহলে বেশ জনপ্রিয়। চীনের ‘ছাও ইয়ু অপেরা সাহিত্য পুরস্কার’ লাভ করেছেন তিনি। ২০১৯ সালে অপেরার গল্পের ভিত্তিতে তিনি উপন্যাস রচনা করেন এবং এ উপন্যাস ‘মাওতুন সাহিত্য পুরস্কার’ লাভ করে।

সাহিত্যে তিনি অনেক পুরস্কার পেয়েছেন। এসবই লেখক ছেন ইয়ানের পরিশ্রম ও সৃজনশীলতার ফসল। অবসর সময়ে তিনি মন দিয়ে মানুষের জীবন পর্যবেক্ষণ করেন, গল্পের প্লট খোঁজেন। চীনের গ্রামাঞ্চলের শ্রমিকদের গল্প তুলে ধরতে তিনি একাধিকবার সি’আন শহরের গ্রামীণ শ্রমিকদের আবাসিক এলাকা সফর করেন। এর পর প্রায় সাড়ে তিন বছর খেটে তিনি তাদের জীবন নিয়ে একটি উপন্যাস রচনা করেন। উপন্যাস লেখাশেষে তিনি মোট ৭ বার সেটি সংশোধনও করেন।

এ সম্পর্কে ছেন বলেন, ‘লেখকদেরকে গভীরভাবে জীবন উপলদ্ধি করতে হয়। কেবল বই পড়ে কোনো একটি অঞ্চলের সার্বিক পরিস্থিতি জানা গেলেও, সেখানকার প্রাণচঞ্চল জীবনের দৃশ্য ফুটিয়ে তোলা সম্ভব নয়।’ তিনি বলেন, ‘কৃষিক্ষেতে গিয়ে জীবনের দৃশ্য পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন। এভাবেই সত্যিকারের দৃশ্যের বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া সম্ভব। লেখকের উপন্যাসে যদি তাঁর অপরিচিত কোনো জীবনের বর্ণনা থাকে, তবে তা পাঠকদের কাছে অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে।’

তিনি প্রচুর খেটে মোট তিনটি উপন্যাস রচনা করেছেন। একটি উপন্যাসের নাম ‘মঞ্চ স্থাপন’। এতে থিয়েটারের মঞ্চ স্থাপনকারী শ্রমিকদের জীবন বর্ণনা করা হয়েছে। পাহাড়াঞ্চলের ছাগপালকের গলায় সুন্দর ‘ছিনছিয়াং সুর’ এবং তাদের জীবনের সুখ-দুঃখও উপন্যাসে বিস্তারিতভাবে উঠে এসেছে।

ছেন ইয়ানের লেখায় নাটকের মতো উদাহরণ দিতে পছন্দ করেন। তাঁর দৃষ্টিতে মঞ্চের মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন সমস্যা ও সুন্দর মুহূর্ত তুলে ধরা যায়। তিনি সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে তৃণমূলের লোকদের জীবনের ওপর বেশি মনোযোগ দেন। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘সমাজের শীর্ষস্থানে দাঁড়ানো লোকের সংখ্যা খুবই কম। কিন্তু তাদের সমর্থকশক্তি হিসেবে যারা আছেন, সেই সাধারণ মানুষের কথাও ভাবতে হবে। যদি সফল ব্যক্তিদের পিছনের বিরাট সমর্থকশক্তি এবং তাদের অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়া না হয়, তাহলে সেটা হবে একজন লেখকের জন্য বড় পরিতাপের বিষয়। সাধারণ মানুষেরা একটি সমাজের সুষম উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি।’ তাঁর উপন্যাস ‘মঞ্চ স্থাপন’ প্রকাশের পর, কেউ কেউ মন্তব্য করেন যে, তিনি তৃণমূলের মানুষদের ভাবমূর্তি সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমার লেখা অসহায় লোকদের সান্ত্বনা দিতে চায়, তাদের জীবনে কিছু উষ্ণতা ও সুখের ছোঁয়া দিতে চায়। আসলে সবার জীবনে অন্যদের প্রয়োজন, সবাই ভালোবাসা পেতে চায়।’

পেশাদার লেখক হিসেবে তিনি ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ করেছেন। তাঁর সাহিত্যজীবন সম্পর্কে ছেন ইয়ান বলেন, ‘আমার ছোটবেলা কেটেছে পাহাড়াঞ্চলের গ্রামে। তখন বই পড়ার সুযোগ খুবই কম ছিল।’ তবে চীনের বৈদেশিক উন্মুক্তকরণ ও সংস্কারনীতি চালুর পর বইয়ের দোকানে অনেক বই পাওয়া যেতে শুরু করে। তখন দেশ-বিদেশের অনেক শ্রেষ্ঠ উপন্যাস ও সাহিত্যের প্রতি তিনি আকৃষ্ট হন। শেক্সপিয়ারের রচনাবলী কেনার জন্য তিনি প্রায় আধা বছর অপেক্ষা করেছিলেন। কারণ, এ ধরনের দামি বই মাত্র দু’এটি দোকানে দু’এক সেট করে পাওয়া যেতো।’

ছেন ইয়ানের জন্মস্থান চীনের শাআনসি প্রদেশের চেনআন জেলার একটি পাহাড়াঞ্চলে। সেখানকার অনেক কিশোর-কিশোরী সাহিত্যের ব্যাপারে আগ্রহী ছিল। তখন জেলার শ্রমিক সংস্থা কিশোরদের জন্য বই পড়ার স্থান করে দেয়। শাআনসি প্রদেশ ও স্থানীয় পত্রিকার অনেক লেখক জেলায় এসে কিশোরদের সঙ্গে সাহিত্য শেয়ার করেন। তখন থেকে সাহিত্যের প্রতি অনেক আগ্রহ তৈরি হয় ছেনের এবং তাঁর নিজের লেখার ওপরও এর প্রভাব ছিল প্রকট।

চীনা কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে বই পড়ার আগ্রহ তৈরিতে কী কী করা উচিত। এ ব্যাপারে লেখক ছেন ইয়ান বলেন, ‘বই পড়া বাচ্চাদের বড় হওয়ার জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ। যদি কেউ ছোটবেলায় বা যুবকালে কম বই পড়ে, তাহলে বড় হয়ে তাঁর পক্ষে লেখক হওয়া প্রায় অসম্ভব।’ বই পড়া একটি বিস্ময়কর ব্যাপার। একজন লেখকের বই পছন্দ হলে যে-কেউ ১০টি বই পড়তে আগ্রহী হয়। যেমন, শেক্সপিয়ারের বই পড়ার পর তাঁর নাটকসহ বিভিন্ন লেখা নিয়ে তিনি গবেষণা করেন। তাঁর বইয়ে ইতিহাসের কোন কোন দিক উঠে এসেছে, সেসব ইতিহাস সম্পর্কে অন্যান্য লেখক কী বলে গেছেন—ইত্যাদি জানতে তিনি আগ্রহী হন। এভাবে তাঁর বই পড়ার সংখ্যা ও ব্যাপ্তি বেড়েছে। বই পড়া যেন গাছের ট্রাঙ্কের খোঁজ পাওয়ার মতো, যতো বেশি পড়া যাবে তত বেশি শাখা-প্রশাখার দেখা মিলবে।

বর্তমানে চীনা সমাজে মোবাইল ফোনের ব্যাপক প্রচলন আছে। অনেকে স্মার্টফোনে ই-বুক পড়েন। কোনো কোনো শিশু বই পড়তে পছন্দ করে, তবে তাদের বইগুলো ফাস্টফুডের মতো। তাদের পঠিত বইয়ের মধ্যে সেরা বইয়ের সংখ্যা যথেষ্ঠ নয়, যা তাদের কল্পনাশক্তিকে সমৃদ্ধ করতে পারে না। কিশোর-কিশোরীরা কয়েক শ বা কয়েক হাজার বছর ধরে প্রচলিত ক্লাসিক সাহিত্যগুলো পড়তে পারে বলে মনে করেন ছেন।

লেখক ছেন নিজের অভিজ্ঞতা স্মরণ করে বলেন, তিনি যুবকালে অনেক শ্রেষ্ঠ সাহিত্য পড়েছেন। তবে, তখন বইয়ের অনেক অংশ বুঝতে পারেননি। বয়স হওয়ার সাথে সাথে জীবন সম্পর্কে তাঁর অভিজ্ঞতা বেড়েছে, তখন সেসেব বইয়ের অনেক দার্শনিক সূত্র ও অর্থ নিতে বুঝতে পেরেছেন। সে এক চমত্কার অনুভূতি। ১৯ বছর বয়সে প্রথমবার রুশ লেখক দস্তয়েভস্কির উপন্যাস ‘অপরাধ ও শাস্তি’ আর ‘ব্রাদার্স কারামাজভ’ পড়েছেন ছেন ইয়ান। তবে, উপন্যাসের অর্থ বুঝতে পারেননি। ৪০ বছর বয়সে তিনি আরেকবার উপন্যাসগুলো পড়েন। তখন অনেক কথার অর্থ ও তাত্পর্য বুঝতে পারেন।

কেই কেউ বলেন, বই পড়া একটি জাতি ও দেশের চেতনার জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ। এ সম্পর্কে লেখক ছেন বলেন, ‘আমার বড় হওয়ার অভিজ্ঞতায় বই পড়া একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল। বই পড়ার মাধ্যমে অন্যদের জীবন ও ইতিহাস থেকে অভিজ্ঞতা সংগ্রহ করা যায়। এভাবে আমাদের জীবন আরও সুন্দর হতে পারে। আমার পড়া দুই রকমের: একটি বাস্তব জীবন থেকে সংগৃহীত অভিজ্ঞতা এবং আরেকটি বই পড়া থেকে অর্জিত তথ্য ও জ্ঞান।’

মানুষের মূল্যবোধ গঠনে বইয়ের অবদান অনস্বীকার্য। নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে আগের প্রজন্মের মানুষকে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে আগে। নতুন প্রজন্ম আগের প্রজন্মের কাছ থেকে দেখে ও শুনে শেখে। বই পড়ার অভ্যাস একটি দেশের চেতনা ও স্বভাবের প্রতিফলন ঘটায়।

বর্তমানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রভূত উন্নয়ন ঘটেছে, জ্ঞানের নতুন নতুন মাধ্যমের সঙ্গে আমরা পরিচিত হচ্ছি। অনলাইনে ছোট ভিডিওসহ বিভিন্ন সোশাল মিডিয়ার অসংখ্য কনটেন্ট আমাদের জীবনকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে চলেছে। বই পড়া বা সাহিত্য রচনার ওপর এর কী প্রভাব? এ সম্পর্কে ছেন বলেন, ‘মাঝে মাঝে আমিও ছোট ভিডিও দেখি। তা আমার কাছে স্ন্যাকসের মতো। আজকাল জীবনের গতি বেড়েছে; বিভিন্ন ধরনের মনের খোরাকের চাহিদাও তাই বেশি। তবে, কেবল এভাবে তথ্য সংগ্রহ করা হলে মানুষের চিন্তার জগত সীমিত হয়ে থাকবে। কেবল বিভিন্ন ধরনের বই পড়ার মাধ্যমে সঠিক চেতনা ও বিবেচনাবোধ সৃষ্টি করা সম্ভব।’

উপন্যাস লেখার অভ্যাস সম্পর্কে ছেন ইয়ান বলেন, যুবকাল থেকেই তাঁর সাহিত্যচর্চার কাজ শুরু হয়। গত ৪০ বছর ধরে তা অবিরাম চলেছে। তাঁর বন্ধু ও সহকর্মীদের মধ্যে অনেকে অন্যান্য পেশায় গেছেন। তবে, তিনি কেবল সৃজনশীল লেখার ওপর মনোযোগ দেন। অফিসের কাজ শেষ করে তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরে যেতেন তিনি এবং বই পড়া ও উপন্যাস লেখার কাজ করতেন, এখনও করেন। সাপ্তাহিক ছুটিতেও খুবই কম সময়ই তিনি বাইরে যান। যখন একটি উপন্যাস রচনা করা শুরু করেন, তখন দিনের বেলাও জানালা ও দরজা বন্ধ করে রাখেন। এভাবে আরও মনোযোগ দিয়ে কাজ করা যায় বলে তিনি মনে করেন। এ সম্পর্কে ছেন বলেন, ‘লেখার সময় আমি সম্পূর্ণভাবে নিজের দুনিয়া ও সাহিত্যের বিশ্বে প্রবেশ করি। লেখার সাফল্য সম্পর্কে কোনো টিপস শেয়ার করতে হলে বলব, মনোনিবেশ। মানুষের জীবনে সময় বেশি নয়। একটি কাজ ভালো করতে চাইলে মনোযোগ দিয়ে করতে হবে।’

চীনের সাহিত্যের ইতিহাসে শাআনসি প্রদেশের কয়েকজন সুবিখ্যাত লেখক রয়েছেন। তাঁরা চীনের সাহিত্য মহলে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান দখল করে আছেন। এ সম্পর্কে ছেন বলেন, শাআনসি প্রদেশের ইতিহাস সুদীর্ঘকালের, যা সাহিত্য বিকাশের জন্য বেশ তাত্পর্যপূর্ণ। একজন লেখক হিসেবে নিজের যুগের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ওপর নজর রাখা প্রয়োজন। আশেপাশের লোক ও ঘটনা এবং সামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন পরিবর্তন অনুভব করতে হবে। বাস্তবতার ভিত্তিতে সাহিত্যে সৃজনশীলতা সৃষ্টি করা সম্ভব। এভাবে লেখা হয় প্রাণবন্ত।

গত ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ছেন ইয়ান শাআনসি প্রদেশের অপেরা একাডেমিতে কাজ করেছেন। ফলে তিনি নাটক ও অপেরা খাতেও একজন বিশেষজ্ঞ। তাঁর লেখায় নাটকসংশ্লিষ্ট উপাদান পাওয়া যায়। তিনি মনে করেন, প্রাচীন চীনের শ্রেষ্ঠ শাস্ত্রগুলোর অনেক দার্শনিক চিন্তাধারা আধুনিক সমাজের জন্যও উপযোগী। চীনের থাং, সুং আর ইউয়ান রাজবংশের শাস্ত্রের অনেক মূলবোধ আজকের চীনের জন্যও শ্রেষ্ঠ ঐতিহ্য বলা যায়। তাঁর লেখায় প্রাচীন সাহিত্যের প্রভাব তাই স্পষ্ট।

তৃণমূলের সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে রচিত ‘মঞ্চ স্থাপন’ উপন্যাস ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছে। এ লেখার মূল চরিত্র মঞ্চ স্থাপনকারী শ্রমিকরা। কেন তাদেরকে নিয়ে একটি উপন্যাস রচনা করেছেন তিনি? ছেন জানান, তাঁর বাড়ি ছিল তিন তলায়; নিচে একটি থিয়েটারের মঞ্চ ছিল। প্রতিদিন থিয়েটারে অনেক দর্শক যাওয়া-আসা করেন এবং প্রতিটি নতুন নাটকের জন্য নতুন মঞ্চ স্থাপন করা হয়। সবাই শুধু অভিনেতা বা অভিনেত্রীদের ওপর মনোযোগ দেয়; কেউ তাদের প্রদর্শনের মঞ্চ কিভাবে স্থাপিত হয় বা হচ্ছে, সেটা খেয়াল করে না। অথচ তাদের অবদান কম নয়। এ কথা ভেবে তিনি সিদ্ধান্ত নেন যে, ‘মঞ্চ স্থাপন’ নাটক রচনা করবেন। আজকাল সমাজ দ্রুত সামনে এগুচ্ছে। এখন আর বছরের পর বছর ধরে অনেকেই একই কাজ করতে পছন্দ করেন না। সবাই দ্রুত সাফল্য অর্জনের প্রত্যাশা করেন। তবে, এমনটা ঠিক নয়। মনে রাখতে হবে পরিশ্রম ও লেগে থাকার বিকল্প নেই। তাঁর উপন্যাস পড়ে এ ধরনের মানুষ বিষয়টা উপলব্ধি করতে পারবে বলে তিনি মনে করেন। তিনি আশা করেন, মঞ্চ স্থাপনকারীদের মতো সবাই শান্ত ও মনোযোগ দিয়ে কাজ করে যাবে এবং জীবনের সত্যিকারের সাফল্য অর্জনে সক্ষম হবে।

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn