শখকে পেশা হিসেবে নেবার সুযোগ
চীনাদের জীবনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ছোঁয়া লেগেছে। ফলে তাদের জীবনে অনেক পরিবর্তন ঘটেছে ও ঘটছে। এর সঙ্গে সঙ্গে যুবকদের নতুন চাহিদা ও প্রযুক্তিগত কাঠামোর পরিবর্তনে অনেক নতুন পেশাও সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে অনেকে তাদের শখকে পেশা হিসেবে নেওয়ার সুযোগও পাচ্ছেন। সম্প্রতি চীনের প্রায় ২৭০০ জন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর মধ্যে জরিপ করা হয়। এ থেকে জানা যায় যে, যদি জীবনযাপনের খরচের চাপ না-থাকে, তাহলে প্রায় ৯৩ শতাংশ শিক্ষার্থী নিজেদের শখকে পেশা হিসেবে নেবেন। তার মানে, তাদের প্রিয় কাজকে পেশা হিসেবে নেওয়া তাদের জন্য বেশ আকর্ষণীয় ব্যাপার। আজকের অনুষ্ঠানে আমরা যুবকদের শখ ও তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ নিয়ে আলোচনা করবো।
চীনের মিনহাং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জু আও ইয়ু বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় ছোট ভিডিও তৈরি করা তাঁর জন্য বেশ মজার ব্যাপার। শুরুর দিকে তিনি ওয়েবসাইট থেকে ভিডিও নিয়ে নিজের মতো করে ভিডিও তৈরি করতেন। পরে ভিডিও এডিট ও বানানোর কিছু পদ্ধতি শিখে ফেলেন। তখন থেকেই তিনি আধুনিক জীবনের আকর্ষণীয় বিভিন্ন দিক নিয়ে তিনি ভিডিও কনটেন্ট তেরি করে আসছেন। পোস্ট ভিডিওগুলো অনলাইনে কয়েক কোটির বেশি ভিউ পেয়েছে।
শাংহাই বিদেশি ভাষা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ইয়াং ছেন সিনের পোশাক ডিজাইনের ওপর ব্যাপক আগ্রহ। ছুটির দিনে তিনি বিভিন্ন ধরনের পোশাক নিয়ে গবেষণা করেন এবং নতুন নতুন স্টাইলের পোশাক বানিয়ে পরেন। স্নাতক হওয়ার পর তিনি পোশাক ম্যাচিংসংশ্লিষ্ট চাকরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
আরও অনেক যুব-শিক্ষার্থী পড়াশোনা করার পাশাপাশি অনলাইনে নিজেদের প্রিয় কাজ করে থাকেন। যেমন, চিলিনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলে নিজের পড়াশোনা শেষ করে অনলাইনে ব্লগার হিসেবে সুপরিচিত হন। তিনি কার্টুন চলচ্চিত্রের চরিত্র মিকি মাউসের চরিত্রে অভিনয় করে ব্যাপক দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছেন। অনলাইনে তার ডাকনাম ‘স্পুন’-এর মানে চামচ এবং সেই নাম তার ও তার বান্ধবীর নামের আদ্যাক্ষর নিয়ে গঠিত। তারা নিয়মিত জীবনের ক্ষুদ্র অথচ মজার ঘটনা নিয়ে ভিডিও তৈরি করেন। এ পর্যন্ত অনলাইনে ২ কোটিরও বেশি লাইক পেয়েছেন তিনি। তার কার্টুন চলচ্চিত্রের চরিত্রে অভিনয় এবং মজার মজার কথা শুনে অনেকে আনন্দ পান। কিছু কিছু ভিডিওর ডিজাইন ভিডিও-টেমপ্লেটে পরিণত হয়েছে, যার ফলে কিছু অর্থও আয় হচ্ছে তার। এ সম্পর্কে সে বলল, ভিডিও-টেমপ্লেট তৈরি করার মাধ্যমে কিছু আয় হচ্ছে যা আনন্দের ব্যাপার। তার কাজ বেশ নমনীয়। তিনি তার এ কাজকে পেশা হিসেবে নেওয়ার চিন্তা করছেন।