বাংলা

প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ও ফ্রান্সের সংস্কৃতি

CMGPublished: 2024-05-08 10:54:01
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

চীনা প্রেসিডেন্ট মতে চীন ও ফ্রান্স অভিন্নহৃদয় বন্ধু হতে পারে, কারণ দু’দেশের আছে গভীর সাংস্কৃতিক ভিত্তি। গত বছরের এপ্রিল মাসে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট চীনের কুয়াং চৌতে সফর আসেন এবং সেখানে প্রেসিডেন্ট সির সঙ্গে বৈঠক করেন। দু’জন একসাথে ঐতিহ্যবাহী চীনা বাদ্যযন্ত্র ‘কুছিনে’ বাজানো পাহাড় এবং প্রবাহিত জল শিরোনামে একটি সংগীত উপভোগ করেন। এ সংগীতের নামকরণ সম্পর্কে একটি কাহিনী শোনান প্রেসিডেন্ট সি। তিনি বলেন, প্রাচীন চীনে ইউয়ু পো ইয়া ও জুং জি ছি নামে দুই ব্যক্তি ছিলেন। তারা পরস্পরের অভিন্নহৃদয় বন্ধু। কেবল অভিন্নহৃদয় বন্ধু এ সংগীত বুঝতে পারে।

২০১৪ সালে, প্যারিসে জাতিসংঘ সংস্থা ইউনস্কোর সদর দপ্তরে প্রেসিডেন্ট সি একটি ভাষণ দেন এবং সেখানে হুগোর একটি কথা তিনি উদ্ধৃত করেন। এ বিশ্বে সবচেয়ে বিশাল হল সমুদ্র। তার চেয়ে বিশাল হবে আকাশ আর আকাশের চেয়ে বিশাল হবে মানুষের মন। উন্মুক্ত মনোভাব দিয়ে বিভিন্ন সভ্যতা গ্রহণ করতে হবে বলে জানান চীনা প্রেসিডেন্ট।

এক দশক পর ইউনেস্কোর তৎকালীন মহাপরিচালক, ইরিনা বোকোভা, এখনও স্পষ্টভাবে প্রেসিডেন্ট সির ভাষণটি মনে রেখেছেন। প্রেসিডেন্ট সি বলেছেন, বর্তমান বিশ্বে মানুষ বিভিন্ন সংস্কৃতি, জাতি, ধর্ম ও সামাজিক ব্যবস্থায় বাস করে। সবাই পরস্পরের ওপর নির্ভরশীল একটি অভিন্ন স্বার্থের সমাজ গড়ে তুলেছে।

বোকোভা বলেন, দশ বছর হলেও প্রেসিডেন্ট সির কথা এখনও অর্থবহ।

৬০ বছর আগে, ১৯৬৪ সালের ২৭ জানুয়ারি চীন ও ফ্রান্স কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করে এবং পূর্ব ও পশ্চিমা দুনিয়ার বিছিন্নতা ভেঙে দিয়েছে। এটি বৈশ্বিক পরিস্থিতিকে বহুপক্ষবাদের দিকে এগিয়ে দিয়েছে এবং নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে।

প্রেসিডেন্ট সি একবার বলেছেন, চেয়ারম্যান মাও সে তুং ও জেনারেল ডি গল অসাধারণ বুদ্ধি ও সাহস নিয়ে পূর্ব -পশ্চিম সহযোগিতার একটি দরজা খোলেন এবং স্নায়ুযুদ্ধে আটকে পড়া বিশ্বের জন্য আশার আলো বয়ে আনেন।

首页上一页12345全文 5 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn