বাংলা

প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ও ফ্রান্সের সংস্কৃতি

CMGPublished: 2024-05-08 10:54:01
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

সাম্প্রিতক বছরগুলোতে চীন ও ফ্রান্সের সাংস্কৃতিক বিনিময় দ্বিপাক্ষীয় সম্পর্কের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ২০১৯ সালে ফ্রান্সের নাইসে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ শতাধিক বছরের ঐতিহাসিক ভিলা ক্রিরোসে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংকে আপ্যায়িত করেন। সেখানে তিনি একটি ফরাসি ভাষার ‘কনফুসিয়াসের অ্যানালেক্টসের ভূমিকা’ উপহার হিসেবে প্রেসিডেন্ট সিকে দেন। ১৬৮৮ সালে ছাপা এ বইয়ের প্রথম পৃষ্ঠায় লেখা হয়, প্রিয় পাঠক, এ বই কনফূসিয়াসকে জানার একটি চাবি। ফরাসি প্রেসিডেন্ট বলেন, ভলতেয়ার এবং মন্টেসকুইউসহ বিখ্যাত চিন্তাবিদ কনফুসিয়াসের চিন্তাধারা দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত ছিলেন। প্রেসিডেন্ট সি এ উপহার অনেক পছন্দ করেন এবং এ বই এখন চীনের জাতীয় গ্রন্থাগারে রক্ষিত আছে।

১৭তম শতাব্দীতে ইউরোপ ও চীনের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ ছিল। চীনের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ১৮তম শতাব্দী সারা ইউরোপ মহাদেশে চীনা ধারা দেখা দেয়। ওই সময়ে ফ্রান্সের চীন-বিশারদরা কনফুসিয়ানিজম অধ্যয়ন করেন এবং তাঁর চিন্তাধারা সারা ইউরোপে প্রচার করেন।

অনেক সাংস্কৃতিক গবেষকও চীন ও ফ্রান্সের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় লক্ষ্য করেন। আধুনিক চীনের বিখ্যাত পণ্ডিত কু হং মিং তার একটি বইয়ে এভাবে লিখেছেন, এ বিশ্বে যেন শুধু ফ্রান্সের মানুষ চীন ও চীনা সভ্যতা বুঝতে পারে, কারণ তাদের চীনের মতো বিশেষ এক ধরনের মানসিক বৈশিষ্ট্য আছে।

২০২৪ সালের পয়লা এপ্রিল, চীন-ফ্রান্স সংস্কৃতি ও পর্যটন বর্ষের গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রকল্প হিসেবে ‘রাজপ্রাসাদ যাদুঘর ও ভার্সাই প্রাসাদ, ১৭ ও ১৮তম শতাব্দীতে চীন ও ফ্রান্সের আদানপ্রাদন’ শিরোনামে একটি প্রদর্শনী বেইজিংয়ে উদ্বোধন হয়। সেখানে ২০০টির বেশি পুরাকীর্তি প্রদর্শিত হয়।

首页上一页12345全文 5 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn