প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ও ফ্রান্সের সংস্কৃতি
প্রতি নববর্ষে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং একটি জাতীয় ভাষণ দেন এবং তিনি তার অফিসে বসেই এ ভাষণ দেন। তার অফিসের বইয়ের তাকে কী কী বই রয়েছে, তা দেশ বিদেশের মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
প্রেসিডেন্ট সি’র অফিসে রয়েছে অনেক ফ্রান্সের সাহিত্য ও শিল্পকর্ম। যেমন ‘দ্য স্পিরিট অফ ল’, ‘লা মিজেরেবল’, ‘দ্য রেড অ্যান্ড দ্য ব্ল্যাক’ এবং ‘দ্য হিউম্যান কমেডি’ ইত্যাদি। তিনি একবার বলেছেন, “যুববেলা থেকে আমি ফ্রান্সের সাহিত্য নিয়ে আগ্রহী এবং ফ্রান্সের ইতিহাস, আর্ট, দর্শন ও সাহিত্য আমাকে আকর্ষণ করে।”
প্রেসিডেন্ট সি বই পড়তে পছন্দ করেন এবং বই পড়ার মাধ্যমে তার বিশ্বদৃষ্টি গঠিত হয়। চীনের নেতা হবার পর সাংস্কৃতিক বিনিময় তাঁর পররাষ্ট্র বিষয়ক কাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়, যা চীন ও বিশ্বের নানা দেশের মধ্যে বোঝাপড়া বাড়ায়।
চীন ও ফ্রান্সের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৬০তম বার্ষিকী উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট সি তৃতীয় বারের মতো ফ্রান্সে রাষ্ট্রীয় সফর করেন। সারা বিশ্ব জানতে চায় চীনের এই নেতা কীভাবে পূর্ব ও পশ্চিম দুটি সভ্যতার মধ্যে ব্যবধান কমিয়ে আনবেন।
ফ্রান্সে, চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের রাষ্ট্রীয় সফর উপলক্ষে ফরাসি সংবাদপত্র ‘লে ফিগারো' ৫ মে ‘চীন ও ফ্রান্সের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের চেতনা অনুসরণ করে বিশ্ব শান্তি ও উন্নয়নের যৌথ প্রচার করা’ শিরোনামে তাঁর একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেছে।
নিবন্ধে, প্রেসিডেন্ট সি উল্লেখ করেছেন যে, ২০২৪ সাল একটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ সময়। তিনি এ সময় ফ্রান্সে আসেন এবং চীন থেকে তিনটি বার্তা নিয়ে আসেন। প্রথমত, চীন, ফ্রান্সের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের চেতনাকে এগিয়ে নিয়ে চীন-ফ্রান্স সম্পর্ককে উন্নীত করতে ইচ্ছুক। দ্বিতীয়ত, চীন উচ্চ-স্তরের উন্মুক্তকরণ অব্যাহত রাখবে এবং ফ্রান্সসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে সহযোগিতা গভীরতর করবে। তৃতীয়ত, বিশ্ব শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য চীন ফ্রান্সের সঙ্গে যোগাযোগ ও সহযোগিতা জোরদার করতে ইচ্ছুক।
