৩২তম পূর্ব চীন মেলা প্রসঙ্গ
দ্বিতীয়ত, শিল্পের স্থানান্তরের জন্য উপযোগী অঞ্চল তৈরি করা যায়। কিছু শিল্পের প্রক্রিয়াকরণ বিভিন্ন অঞ্চলে স্থানান্তরের মাধ্যমে তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা দক্ষতা পুনর্নির্মাণ করা যায়। বিদেশে চীনা কোম্পানির উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সমর্থন দেয়া হবে। পাশাপাশি বিশ্ব সরবরাহ চেনের বিন্যাস জোরদার করে শিল্প ব্যবস্থায় চীনের অবস্থান উন্নীত করা যায়। বেল্ট অ্যান্ড রোড সংশ্লিষ্ট দেশ কেন্দ্র করে বিশ্বের সম্পদ নিয়ে চীনের সমন্বয় দক্ষতা জোরদার করা যায়। ইউরোপীয় ইউনিয়ানের সঙ্গে আর্থ-বাণিজ্য সম্পর্ক গভীরতর করে এবং নিয়মিত যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করে– প্রযুক্তি গবেষণা, প্রকল্পের বিনিয়োগ ও শিল্প চেনের সমন্বয় সহযোগিতার জন্য নতুন আবকাশ তৈরি করা যায়। ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগ সংশ্লিষ্ট দেশ ও অঞ্চলের বাজার দ্রুত প্রসারিত করে এবং তাদের সঙ্গে অবাধ বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করে। অংশিদারি দেশের মধ্যে বণিজ্যের বাধা কমিয়ে আনাও এ ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে।
লিয়ান পিংয়ের মতে বিশ্বের নতুন অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের নতুন প্রবণতা ও চাহিদা মেটাতে পূর্ব চীন মেলাকেও নবায়ন ও প্রাগ্রসর হতে হবে। আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ও ডিজিটাল টুল যেমন ই-বাণিজ্য প্ল্যাটফর্ম, বিগ ডেটা বিশ্লেষণ ও ক্লাউড কম্পিউটারসহ নানা প্রযুক্তির সাহায্য বাণিজ্যের কার্যকারিতা ও মান উন্নয়ন করবে। প্রদর্শক ও ক্রেতার মধ্যে বাণিজ্যে কার্যক্রমের সুবিধাও প্রযুক্তির সাহায্যে বৃদ্ধি হবে। তাতে পূর্ব চীন মেলা আরও বেশি দেশ বিদেশের ক্রেতা ও বিক্রেতা আকর্ষণ করবে এবং মেলার প্রভাবও জোরদার হবে। তাছাড়া, পূর্ব চীনা মেলা পণ্যের বাণিজ্য ছাড়া অন্য বিষয়ে সেবা প্রদান করতে পারে। যেমন বাজার বিশ্লেষণ, ব্র্যান্ড প্রচারণা, বিনিয়োগ পরামর্শ ইত্যাদি। আন্তর্জাতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা দক্ষতা ও বাজার জানতে কোম্পানিকে সাহায্য দিতে পারবে পূর্ব চীন মেলা।