৩২তম পূর্ব চীন মেলা প্রসঙ্গ
বিশ্ব শিল্প চেন সমন্বয় ও চীনা বৈদেশিক বাণিজ্যের সম্প্রসারণে পূর্ব চীন মেলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদ লিয়ান পিং। চীনের বৈদেশিক বাণিজ্যের গুরুত্বপূর্ণ একটি জানালা ও প্লাটফর্ম পূর্ব চীন মেলা। বিশেষ করে চীন বিশ্বের রপ্তানি বাণিজ্যের বৃহত্তম দেশ হওয়ায় এ ক্ষেত্রে বড় অবদান রাখে। চীনা প্রধান অর্থনীতিবিদ ফোরামের পরিচালক ও শাংহাই অর্থনৈতিক সমিতির উপপ্রধান লিয়ান পিং মনে করেন, পূর্ব চীন মেলার সাফলতার মূল কারণ দুটি। এক দিকে এ মেলা বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক চীনের প্রথম কয়েকটি মেলার অন্যতম। অন্য দিকে এ মেলা ইয়াংসি নদীর বদ্বীপের শক্তিশালি অর্থনৈতিক দক্ষতার ওপর নির্ভর করে। ইয়াংসি নদীর বদ্বীপ যেমন চীনে অর্থনীতির সবচেয়ে সক্রিয় একটি জায়গা এবং চীনের আর্থিক ও নৌ পরিবহনের কেন্দ্রও এখানে আছে, তা পূর্ব চীন মেলার জন্য ভাল একটি পরিবেশ ও সমর্থন দেয়।
১ মার্চ অনুষ্ঠিত ৩২তম পূর্ব চীন মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, লিয়ান পিং একটি ভাষণ দিয়েছেন। তিনি বলেন, বিশ্ব অর্থনীতি উন্নয়ন ও সরবরাহ চেনের সমন্বয়ও চলছে। বর্তমান বিশ্ব সরবরাহ চেনের ক্ষেত্রে বাণিজ্য সংরক্ষণবাদ আরও বেশি দেখা দিয়েছে। বিশ্ববাণিজ্যের আঞ্চলিকায়নের পাশাপাশি রয়েছে বেশি কয়েকটি বাণিজ্য কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় কোম্পানির বৈশ্বিক সরবরাহ চেনের নিয়ন্ত্রণ দক্ষতা দিন দিন বাড়ছে। বৈশ্বিক সরবরাহ চেনের সহযোগিতা নিয়ম আরও বহুপক্ষীয়, ডিজিটাল ও সবুজ দিকে যায়। এ সব প্রবণতা চীনের অর্থনীতির উন্নয়নের ওপর প্রভাব ফেলেছে এবং ভবিষ্যতেও ফেলবে।
বৈশ্বিক সরবরাহ চেনের পরিবর্তনের মোকাবিলা করতে লিয়ান পিং মনে করেন চীনকে ধারাবাহিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে যাতে অর্থনীতির স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন বজায় রাখা যায়।
প্রথমে, অভ্যন্তরীণ অর্থনীতির নিজস্ব উন্নয়নের চালিকাশক্তি জোরদার করা যায়। নির্মাণ শিল্পের মৌলিক দক্ষতা ও আধুনিকায়নের মান উন্নয়ন করা। কেন্দ্রীয় সরকারের বাজেট ও স্থানীয় সরকারের বন্ডসহ সরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি করার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে অবকাঠামো নির্মাণ জোরদার করা যায়। পাশাপাশি শিল্পের স্থিতিশীলতা জোরদার করা। তার বাস্তবায়ন বিভিন্ন শিল্পের মৌলিক দক্ষতা ও শিল্প চেনের মানের ওপর নির্ভর করে। চীনা কোম্পানি বৈশ্বিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা দক্ষতা জোরদার করে শিল্প চেনের সুষ্ঠু চলাচল নিশ্চিত করা।