আকাশ ছুঁতে চাই ৯২
১৯৭০ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার গাংজু শহরে জন্মগ্রহণ করেন হান ক্যাং। ৯ বছর বয়সে তিনি তার পরিবারের সঙ্গে সিউলে চলে আসেন। তার সাহিত্যিক পরিবারের পটভূমি থেকে তিনি লেখালেখির প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন। হান ক্যাংয়ের বাবা একজন সুপরিচিত ঔপন্যাসিক ছিলেন। সাহিত্যের পাশাপাশি তিনি চিত্রকলা ও সংগীতেও পারদর্শী, যা তার সমগ্র সাহিত্যকর্মে প্রতিফলিত হয়েছে।
হান ক্যাং এর আগেও আন্তর্জাতিকভাবে আলোচিত হয়েছেন, বিশেষ করে তার উপন্যাস 'দ্য ভেজিটারিয়ান'-এর জন্য। এটি ২০১৬ সালে ম্যান বুকার ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ জয় করে। তার সাহিত্যিক কাজগুলোতে তিনি মানবিক দুর্দশা, যুদ্ধের ভয়াবহতা এবং স্মৃতির গভীর জটিলতাগুলো অত্যন্ত সংবেদনশীলভাবে তুলে ধরেছেন।
হান ক্যাংয়ের গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সাফল্য আসে উপন্যাস ‘দ্য ভেজিটারিয়ান’-এর মাধ্যমে। এটি তিনটি অংশে রচিত। নোবেল কমিটি বলেছে, তার কাজের বৈশিষ্ট্য হলো ব্যথার দ্বৈত প্রকাশ, মানসিক ও শারীরিক যন্ত্রণার মধ্যে একটি সাদৃশ্য, যা প্রাচ্য চিন্তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত।
২০২৩ সালের পুরস্কারটি নরওয়ের লেখক ও নাট্যকার জন ফসেকে প্রদান করা হয়েছিল। তিনি তার উদ্ভাবনী নাটক ও গদ্যের জন্য সম্মানিত হয়েছিলেন। যা অব্যক্ত অনুভূতিগুলোকে কণ্ঠ দেয়।
সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারে দীর্ঘদিন ধরে পুরুষদের প্রাধান্য ছিল। মাত্র ১৭ জন নারী এই সম্মান পেয়েছেন। সর্বশেষ নারী বিজয়ী ছিলেন ফ্রান্সের আনি আর্নো, যিনি ২০২২ সালে এই পুরস্কার অর্জন করেন।
কুপা চা তৈরির ঐতিহ্যের ধারক পং খাংচং
দক্ষিণ চীনের কুয়াংসিতে কুপা চা তৈরিতে দক্ষ পং খাংচং। ছোটবেলা থেকেই এই চা তৈরির সঙ্গে আছেন তিনি।এখন তিনি এই চা তৈরিতে ঐতিহ্যের ধারক হিসেবে সুপরিচিত। বিস্তারিত আফরিন মিমের প্রতিবেদনে।
দক্ষিণ চীনের কুইচৌ প্রদেশের বিখ্যাত চা কুপা। আর এই চা তৈরিতে অন্যদেরকে ছাড়িয়ে নিজেকে বিশিষ্ট করে তুলেছেন পং খাংচং নামের এক নারী।
এই প্রদেশের সিয়াংচৌ কাউন্টির কুপা গ্রামের বাসিন্দা পং খাংচং। তিনি ১৯৮৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন।জন্মের পর থেকে পরিবারের মানুষদের দেখতেন এই চা তৈরি করতে। সেই থেকে ধীরে ধীরে নিজেও শিখতে থাকেন এই চা তৈরি। একটা সময় পর এখন কুপা চা তৈরির ঐতিহ্যের ধারক হিসেবে সুপরিচিত তিনি।
সিয়াংচৌর চা চাষ একটি ঐতিহ্য, যা তেরোশ’ বছরের বেশি সময় ধরে চলছে। এই চায়ের নাম মূলত এই গ্রামের নাম থেকেই এসেছে। যার ইতিহাস চারশ বছরের পুরনো।