আকাশ ছুঁতে চাই ২
ডিভোর্সের পর তিনি মনে করেন নিজস্ব উদ্যোগে কিছু করবেন। সুচৌতে একটি নিজস্ব কোম্পানি খোলেন। সেটি সফল হয়নি। এরপর শিশুদের ছবি আাঁকা শেখানোর স্কুল শুরু করেন। সেই স্কুলে ছবি আঁকা এবং নানা রকম কারুশিল্প শেখাতেন।
প্রচুর অর্থ নষ্ট হয়। ঋণও করতে হয়। সিংগেল মাদার হিসেবে তার টিকে থাকাই ছিল মুশকিল।
তিনি মনে করেন এই সময়ে তিনি ছিলেন এমন একজন মানুষ যার প্রচুর সৃজনশীল আইডিয়া আছে কিন্তু কোনো সুনির্দিষ্ট ব্যবসায়িক পরিকল্পনা নেই।
লিন বলেন, ‘নিজের উদ্যোগে সফল হতে হলে খুব দৃঢ় ইচ্ছাশক্তি থাকতে হয়। মনোবল ধরে রাখাটা একটা প্রধান বিষয়। নিজের আরাম আয়েশ ত্যাগ করে নিজস্ব মেধা ও প্রতিভার সবটুকু কাজে লাগাতে হয়। কখনও কখনও ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্তও নিতে হয়।’
এই কাজটিই করেন লিন। তার শখকে তিনি পেশাতে পরিণত করেন। তার শখ ছিল ছবি আঁকা। তিনি অনলাইনে একটি ছবি আঁকা প্রশিক্ষণ চ্যানেল খোলেন। এটা ২০২০ সালের কথা। এখন তার চার লাখ অনুসারী আছে।
তিনি নিয়মিত অফলাইন কর্মশালারও আয়োজন করেন। সেখানে এক হাজার পর্যন্ত মানুষ অংশ নিয়েছেন।
লিন এখন একজন সফল চিত্রাঙ্কন শিক্ষক। তিনি দিনে চার ঘন্টা কাজ করে প্রচুর উপার্জন করেন। দিনের শুরুতে একঘন্টা ব্যায়াম করেন। বাকি সময়টা নিজের ইচ্ছামতো কাটান।
নিজের ভালোলাগাকে প্রাধান্য দিয়ে এভাবেই এগিয়ে যাচ্ছেন সাহসী নারী লিন সিয়াওপাই।
তিব্বতি মেয়ে থাশি
চীনের ৫৬ জাতিগোষ্ঠীর রয়েছে সমৃদ্ধ সংস্কৃতি। এই সংস্কৃতিকে ধারণ করে জীবনের পথে এগিয়ে যাচ্ছেন অনেক নারী। আজ আমরা শুনবো এমন একজন কিশোরী মেয়ের কথা যে খুব ছোট বয়সেই হয়ে উঠেছে তার সংস্কৃতির উত্তরাধিকারী।
চীনের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল তিব্বতের সংস্কৃতি অত্যন্ত সমৃদ্ধ। তিব্বতি জাতির মানুষ শুধু তিব্বত নয় আশপাশের প্রদেশের বিভিন্ন স্বায়ত্তশাসিত প্রিফেকচারেও বসবাস করেন। এখানে তারা তিব্বতের সংস্কৃতির বিভিন্ন দিক নিয়ে চর্চা করেন। যারা সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকারকে পরবর্তি প্রজন্মের কাছে পৌছে দেন এবং নিজে এই ঐতিহ্যকে চর্চা করেন তাদের বলা হয় কালচারাল ইনহেরিটর বা সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকারী।