আকাশ ছুঁতে চাই ১০৬
আছেন চেন ইউশি ও ছুয়ান হোংছান। এই দুই নারী ক্রীড়াবিদ ডাইভিংয়ে সেরা খেতাব জয় করেন।
এ বছর আরও আলোচিত হন ক্রীড়াবিদ লি নিনাসহ অনেকে।
এবছর বিজ্ঞানী নারীরাও আলোচিত হন। "বৈচিত্র্য এবং অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে বৈজ্ঞানিক কর্মশক্তির ভবিষ্যত পুনর্নির্মাণ " এই শ্লোগানকে সামনে রেখে বৈজ্ঞানিক গবেষণায় নারীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে "শি ফোরাম" নামে একটি বিশেষ আয়োজন করে ওয়ার্ল্ড লরিয়েটস অ্যাসোসিয়েশন WLF। চীনের সাংহাইয়ে এই বছরের নারী-কেন্দ্রিক এই ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সমাবেশ হিসেবে পরিচিত এটি।
চীনে গত দশবছরে নারীর অধিকার অর্জন ও জেন্ডার সমতায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। এ বছর প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে দেখা যায়, চীনের নারীরা অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন ও সংস্কারে জোর ভূমিকা পালন করছে। তারা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের পাশাপাশি লক্ষ্য পূরণে আগের চেয়ে অনেক বেশি সক্ষম হয়ে উঠেছে।
২০১২ সালে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি সিপিসি’র ১৮ তম জাতীয় কংগ্রেসের পর থেকে নারী অধিকার ইস্যুটি এতোই গুরুত্ব পায় যে, চীনের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে নারীরা। ১৮ তম সিপিসি জাতীয় কংগ্রেসের পর থেকে নারীদের অধিকার ও স্বার্থ রক্ষায় শতাধিক বিধান সম্বলিত আইনি ব্যবস্থা গঠন করেছে দেশটির সরকার। চলতি বছর, নারীর অধিকার এবং স্বার্থ রক্ষায় যে আইনটি করা হয়েছে তা সমাজে বড় পরিবর্তনের সূচনা করছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।
লিঙ্গ সমতার মৌলিক জাতীয় নীতি মেনে চলা, এবং নারী ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের বৈধ অধিকার রক্ষায় কাজ করছে চীন সরকার। শুধু তাই নয়, চীন জ্ঞান বিজ্ঞান এবং উদ্ভাবনকে জোরালোভাবে সমর্থন করায় এর প্রসারে বিভিন্ন নীতিমালাও গ্রহণ করা হয়েছে। প্রযুক্তিগত গবেষণায় অংশগ্রহণ, মহাবিশ্বের অন্বেষণ থেকে শুরু করে গ্রামীণ পুনরুজ্জীবনে অবদান, খেলাধুলার শীর্ষ স্তরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পুরুষের পাশাপাশি সফলভাবে কাজ করছেন চীনা নারীরা। এভাবেই কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে আধুনিক চীনে ক্রমাগত বিশাল অবদান রাখছেন নারীরা।
পরিসংখ্যান বলছে, গত দশ বছরে, চীনের বাধ্যতামূলক শিক্ষায় জেন্ডার ব্যবধান কার্যকরভাবে দূর করা হয়েছে এবং উচ্চশিক্ষায় নারী শিক্ষার্থীদের অনুপাত ৫০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। কর্মশক্তিতে নারী কর্মচারীর অনুপাত ৪০ শতাংশেরও বেশি।
২০১০ সালে নারীদের গড় আয়ু ছিল ৭৭ দশমিক ৩৭ বছর। যা ২০২০ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮০ দশমিক ৮৮ বছর। গেল বছর মাতৃমৃত্যুর হার প্রতি লাখে ১৬ শতাংশ কমেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মা ও শিশু স্বাস্থ্যে সর্বোচ্চ কর্মক্ষমতা ভিত্তিক তালিকায় বিশ্বের ১০টি দেশের মধ্যে চীন জায়গা করে নিয়েছে।
শীতকালীন উৎসবের গান
চীনে এখন চলছে শীতকালীন অয়ন উৎসব বা উইন্টার সলিসটিস। এর চীনা নাম তুং চি । ডিসেম্বরের ২২ থেকে জানুয়ারির ৫ তারিখ পর্যন্ত সময়কে বলা হয় তুং চি তিয়ান।
ঐতিহ্যবাহী চীনা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী বছরকে ২৪টি সৌরপর্বে ভাগ করা হয়। ২২তম সৌর পর্ব হলো তুং চি। এই সময় চীনারা বিশেষ কিছু রীতি রেওয়াজ পালন করেন। থাং(৬১৮-৯০৭), সুং (৯৬০-১২৭৯) , এবং ছিং(১৬৪৪- ১৯১১ খ্রি.) রাজবংশের সময় শীতকালীন এই উৎসবে স্বর্গ ও পূর্বপুরুষদের স্মরণ করা হতো।