আকাশে ছুঁতে চাই(২২)-সফল হতে হলে সমালোচনা সহ্য করার মানসিকতা থাকতে হবে-China Radio International
চীন আন্তর্জাতিক বেতারের ঢাকা স্টেশন থেকে প্রচারিত আকাশ ছুঁতে চাই অনুষ্ঠানে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি শান্তা মারিয়া। কেমন আছেন আপনারা? আশাকরি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।
আকাশ ছুঁতে চাই অনুষ্ঠানে আমরা কথা বলি সেইসব নারীর সঙ্গে যারা সাফল্যের আকাশ স্পর্শ করেছেন অথবা স্পর্শ করতে চান। আমাদের আজকের অতিথি বিশিষ্ট বাচিকশিল্পী, উপস্থাপক ,সংস্কৃতি কর্মী ও শিক্ষক প্রজ্ঞা লাবণী।
ভার্চুয়ালি তিনি যুক্ত হয়েছেন আমাদের সঙ্গে।
সাক্ষাৎকার
সফল হতে হলে সমালোচনা সহ্য করার মানসিকতা থাকতে হবে-প্রজ্ঞা লাবণী
প্রজ্ঞা লাবণী বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত নারী। তিনি ছোটবেলা থেকেই বিটিভির বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করছেন। একটি শিক্ষিত ও সংস্কৃতিবান পরিবারে জন্ম হওয়ায় তিনি সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে শৈশব থেকেই যুক্ত ছিলেন। তার মা ড.হালিমা খাতুন মহান ভাষা আন্দোলনের একজন কর্মী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সাহিত্যিক এবং সংস্কৃতিবান মানুষ ছিলেন। প্রজ্ঞা লাবণীর চাচা গোলাম মোস্তফা বাংলাদেশের অত্যন্ত বিখ্যাত চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব ও আবৃত্তি শিল্পী ছিলেন।
প্রজ্ঞা লাবণী তাই শৈশব থেকেই কবিতা আবৃত্তির প্রতি আকৃষ্ট হন। তিনি বিতর্ক প্রতিযোগিতায়ও খ্যতি পান। উপস্থাপক হিসেবে তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয়। তিনি বিটিভিতে কবিতার অনুষ্ঠানের উপস্থাপক হিসেবে বিশেষ জনপ্রিয়তা পান। এনটিভিতে অগ্রজ অনুষ্ঠান উপস্থাপনাও তাকে জনপ্রিয়তা দেয়। সেই অনুষ্ঠানে তিনি দেশের বিশিষ্ট প্রবীণ নাগরিকদের জীবন ও কর্ম তুলে ধরেন। আবৃত্তিশিল্পী ও উপস্থাপক হিসেবে তার সাফল্যের সূত্র বিষয়ে তিনি বলেছেন, ‘সফল হতে হলে সমালোচনা সহ্য করার মানসিকতা থাকতে হবে।’ তিনি তার ভুলগুলো থেকে সবসময় শিক্ষাগ্রহণ করেছেন।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তিকালে আরও দুটি বিষয়ে তিনি মাস্টার্স করেন। তিনি বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন।
প্রজ্ঞা লাবণী জীবনে এগিয়ে চলায় বিশ্বাস করেন। তিনি মনে করেন, জীবনে ঘাত প্রতিঘাত জয় করে এগিয়ে চলার সাহস ও বিশ্বাস থাকলে সফল হওয়া সম্ভব।
চীনের বিখ্যাত নারী সিয়ে চুন
গ্র্যান্ডমাস্টার সিয়ে চুন হলেন চীনের বিখ্যাত দাবা খেলোয়াড়। তিনি এশিয়ায় নারীদের দাবা খেলার অনুপ্রেরণাস্বরূপ। সিয়ে চুনের জন্ম ১৯৭০ সালে হপ্যেই প্রদেশের পাওতিং শহরে। তবে তিনি বেড়ে ওঠেন বেইজিংয়ে। ছয় বছর বয়স থেকে তিনি চায়নিজ চেজ খেলা শুরু করেন। দশ বছর বয়সে তিনি বেইজিংয়ে নারীদের সিয়াংছি প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হন। এরপর তিনি আন্তর্জাতিক দাবা খেলায় অংশ নিতে থাকেন।