‘বিজনেস টাইম’ পর্ব- ৪০
লিউর মতে, লাতিন আমেরিকার অর্থনীতির সামগ্রিক উন্নয়ন এবং আধুনিকীকরণে অবদান রাখতে দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারিত্বের একটি উর্বর ভূমি খুঁজে পেতে পারে চীনা কোম্পানিগুলো।
এই বছরের শুরুর দিকে, চীনের তৈরি ছয়টি বৈদ্যুতিক ও প্রচলিত জ্বালানির সমন্বয়ে তৈরি ট্রেন চিলির সান্তিয়াগো এবং কুরিকোর মধ্যে চলাচল শুরু করে। এগুলোই ছিল চীনের রপ্তানি করা প্রথম দ্বৈত-শক্তির ট্রেন।
চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সিআরআরসি কর্পোরেশন লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ছিংতাও সিআরআরসি সিফাং রোলিং স্টক কোম্পানি লিমিটেডের তৈরি ট্রেনগুলোর সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার। চিলিসহ লাতিন আমেরিকায় চলাচলকারী এ ধরনের ট্রেনের মধ্যে চীনের ট্রেনগুলোই দ্রুততম।
সিআরআরসি ছিংতাও সিফাং-এর সিনিয়র ডিজাইনার ওয়াং চিংচুন বলেন, ট্রেনগুলো ইন্টারনাল কমবাশন এবং গ্রিড-ভিত্তিক পাওয়ার সাপ্লাই সিস্টেমের সঙ্গে যুক্ত। ট্রেন বন্ধ না করেই এগুলোর পাওয়ার সিস্টেম বদলানো সম্ভব।
এ ধরনের প্রতিটি ট্রেন ৬৩০ জন যাত্রী বহনে সক্ষম, যা চিলির রেলওয়ের যাত্রী পরিবহন সক্ষমতা ব্যাপকভাবে বাড়িয়েছে।
অন্যদিকে ব্রাজিলের পানাতি ফটোভোলটাইক পাওয়ার স্টেশন চালু হয়েছে গত জুনে। বেইজিংয়ের স্টেট পাওয়ার ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশনের বিনিয়োগে নির্মিত পাওয়ার স্টেশনটির সক্ষমতা বছরে ২৯২ মেগাওয়াট। সাড়ে তিন লাখ পরিবারকে পরিচ্ছন্ন বিদ্যুৎ দিতে পারবে এটি।
পাওয়ার স্টেশনটির ব্রাজিল শাখার চেয়ারম্যান লিন কুইসিয়াং বলেছেন, স্টেশনটি জলবায়ুর পরিবর্তনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। বছরে প্রায় ৬ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন কমাবে এটি।
গত মাসে বেইজিংয়ে এক সেমিনারে চীনের জাতীয় উন্নয়ন ও সংস্কার কমিশনের ডেপুটি সেক্রেটারি-জেনারেল চাং শিসিন বলেন, চীন ও লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে শক্তিশালী অর্থনৈতিক যোগসূত্র রয়েছে, যা কিনা পারস্পরিক সহযোগিতার একটি দৃঢ় ভিত্তি ও অফুরন্ত সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে।