‘বিজনেস টাইম’ পর্ব- ৪০
অর্থনৈতিক বিকাশের সম্ভাবনার দিকে গুরুত্ব দিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও প্রতিষ্ঠানের আপেক্ষিক চাহিদা খেয়াল রাখার বিষয়টি জানান ফাং তোংমিং। তিনি বলেন, চীনের স্টক মার্কেটে বিনিয়োগ করা বিদেশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য শুধু পছন্দই নয়- প্রয়োজনও।
ফাং এর সাথে একমত ছিয়ানহাই সিকিউরিটিজের গবেষণা বিভাগের পরিচালক সুন ইয়ু। তিনি জানান, চীনের উৎপাদনের সাথে সম্পর্কিত খাতগুলো নিয়ে বেশি বেশি জরিপ প্রকাশ করার তাগাদা দিচ্ছে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। সেইসাথে পেশাদার বিনিয়োগের পরামর্শ দিতেও তাকে অনুরোধ করছেন অনেকে।
একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান জানায় তারা এখন প্রতি সপ্তাহে ২০ থেকে ৩০টি কোম্পানির সমীক্ষা পরিচালনা করছে,যা আগের চেয়ে উল্লেখযোগ্যহারে বেড়েছে।
২৪ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত, সুন ও তার দল যেসব বিদেশী তহবিলের বিশ্লেষণ করেছে, সেগুলো সব মিলিয়ে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করেছে চীনের স্টক মার্কেটে।
বেশকিছু বিনিয়োগকারীর মতে, চীনের অর্থনীতির মূলনীতি অব্যাহত থাকায়, দীর্ঘমেয়াদী পুঁজিবাজারে ত্বরান্বিত হচ্ছে দেশটির বাজার।
প্রতিবেদন || শাহানশাহ রাসেল
সম্পাদনা || রওজায়ে জাবেদা ঐশী
· চীনা বিনিয়োগের উর্বর ভূমি লাতিন আমেরিকা
লাতিন আমেরিকার দেশগুলো এখন চীনা কোম্পানিগুলোর কাছে আকর্ষণীয় বাজার ও বিনিয়োগ গন্তব্যে পরিণত হয়েছে। এই দেশগুলোর আছে প্রাণবন্ত একটি ভোক্তা বাজার। আধুনিক অবকাঠামোর চাহিদাও বেড়েছে এখানকার অঞ্চলে। সেইসঙ্গে প্রাকৃতিক সম্পদেও ভরপুর লাতিন আমেরিকা। সম্প্রতি সংশ্লিষ্ট বিশ্লেষকরা জানালেন এসব তথ্য।
বেইজিংয়ের চায়না এন্টারপ্রাইজ কনফেডারেশনের সিনিয়র গবেষক লিউ সিনকুও বলেছেন, ব্রাজিল, কলম্বিয়া এবং পেরুসহ অনেক দেশে অর্থনৈতিক সংস্কার এবং অবকাঠামো উন্নয়ন পরিকল্পনা চলমান রয়েছে। লাতিন আমেরিকায় চলমান নগরায়ন ও শিল্পায়নের কারণে এই অঞ্চলের প্রতি চীনের আকর্ষণ সামনে আরও বাড়বে।