চীন ও চীনের বাইরের দুনিয়ার ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতি-উন্নয়নের হালচাল নিয়ে নিয়মিত সাপ্তাহিক অনুষ্ঠান ‘বিজনেস টাইম’
এ চুক্তিতে এটা স্পষ্ট যে, দুনিয়াজুড়ে গাড়িশিল্পে আসতে চলেছে একটি বড় পরিবর্তন। আর সেই পরিবর্তনটা যেন সত্যিকার অর্থেই যুগান্তকারী কিছু হয়, সেটা নিশ্চিত করতে ইউরোপের গাড়িনির্মাতাদের নজর কিন্তু চীনের দিকেই।
আর বাজারে সেটার ছাপও রেখে চলেছে চীনের গাড়ি নির্মাতারা। জেনেভা মোটর শোর প্রেস্টিজিয়াস কার অব দ্য ইয়ার প্রতিযোগিতায় এবার ফাইনালিস্টদের তালিকায় থেকে নিজের নজরকাড়া ডিজাইন, পারফরমেন্স ও প্রযুক্তির কথা জানান দিয়েছে চীনের গাড়ি বি ওয়াই ডি সিল।
সিয়াওপেংয়ের মতো চীনের উদীয়মান বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতাদের প্রসঙ্গ টেনে জার্মানির সেন্টার অব অটোমোটিভ ম্যানেজমেন্ট-এর প্রধান স্টেফান ব্রাৎজেল বলেছেন, সমগ্র বিশ্বের গাড়ি শিল্প একটি বড়সড় পরিবর্তনের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে। আর এ পরিবর্তনটা আসছে বিশ্ববাজারে নতুন কিছু নির্মাতার হাত ধরে, যারা কিনা গাড়ির জন্য নতুন জ্বালানি এবং এর ডিজিটালাইজেশন নিয়ে কাজ করে চলেছেন।
গাড়ি শিল্পে চীনের সঙ্গে ইউরোপের এ ধরনের মেলবন্ধন নতুন নয়। ৪০ বছর আগে ১৯৮০ সালে ভক্সওয়াগন তাদের প্রথম স্যানটানা গাড়িটি তৈরি করেছিল চীনে। চীনজুড়ে তখন ওই গাড়িটির নাম ছিল সবার মুখে মুখে।
সেই ঐতিহাসিক চুক্তির পর থেকেই চীনের সঙ্গে ইউরোপের গাড়ি শিল্পের সখ্যতা দিন দিন বেড়ে চলেছে। ইউরোপের আগ্রহের কেন্দ্রে রয়েছে মূলত চীনের প্রযুক্তি, গাড়ির উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বাজার ধরার কৌশল। অন্যদিকে ইউরোপের কাছ থেকে প্রকৌশল দক্ষতা আদান-প্রদান করতে চায় চীনের।
তবে নতুন দিনের গাড়ির এ যাত্রায় প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়িয়েছে ইউরোপীয় গাড়ি বাজারের ওপর মাত্রাতিরিক্ত প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ।