‘চলতি বাণিজ্য’-পূর্ব ২৫
“এখানকার সংস্কৃতি আমার খুবই ভালো লেগেছে। এখানকার কাদামাটির শিল্পের অনেক ছবি তুলেছি। বাড়িতে পৌঁছে আমি আমার পরিবারের সদস্য ও বন্ধুদের এগুলো দেখাবো।“
হাজার বছরের প্রাচীন এই নগরী কাশগড় সিনচিয়াংয়ের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ। এখানকার নির্মাণশৈলীর যেমন আছে বিশেষত্ব, তেমনি স্থানীয় নৃতাত্বিক জনগোষ্ঠীর জীবনাচার ও সংস্কৃতিও আলাদা। চলতি বছর এখানকার স্থানীয় সরকার কাশগড় নগরীর অতিপ্রাচীন ভবনগুলোকে সংস্কার করে নতুন রূপে তুলে ধরে পর্যটকদের সামনে। আবার কাশগড়ের গলিপথে বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসা দোকান ও কেনাকাটাও দারুণ উপভোগ্য। হাতে তৈরি কুটির শিল্পের নানা আকর্ষণীয় পণ্য থেকে যেন নজর ফেরানোই দায়।
সিনচিয়াংয়ের আকর্ষণীয় আয়োজনের মধ্যে মুগ্ধ করে বিশাল মরুভূমিতে গাড়ি চালানো প্রতিযোগিতা। উন্মুক্ত খোলা প্রান্তরে বন্ধুর পথে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে ছুটে চলার যে অনুভূতি তা সত্যিই স্মৃতি হয়ে থাকে যে কারও কাছে। আরও বেশি দুঃসাহসিক লাগে আকাবাঁকা-উঁচুনিচু পাহাড়ি পথধরে এগিয়ে চলার অভিযান।
স্থানীয় সংস্কৃতি ও নিজেদের তুলে ধরার মধ্যদিয়ে এখানকার মানুষ যেন তুলে ধরে নিজেদের পরিচয় ও আলাদা স্বাতন্ত্র্য। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, চলতি বছরের প্রথম ৫ মাসে সিনচিয়াংয়ে ঘুরতে এসেছে অন্তত ৭২ মিলিয়ন পর্যটক। এখাত থেকে আয় হয়েছে প্রায় ৬২ বিলিয়ন ইউয়ান বা ৮ দশমিক ৭২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।