চলতি বাণিজ্যের ২১তম পর্ব
তিনি জানান, বৈশ্বিক নির্মাতা ও ব্র্যান্ডের খ্যাতি ধরে রাখতে হলে চীনের বাজারকে অস্বীকার করার উপায় নেই।
সম্প্রতি জার্মানির স্টুটগার্টে প্রদর্শনের জন্য প্রস্তুত করা হয় নতুন নির্মাণ করা গাড়ি। চলতি বছরই বাজারে ক্রেতাদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এসব গাড়ি।
প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা বোর্ডের চেয়ারম্যান ওলা কাইলেনিয়াস জানান, গেল ১০-১৫ বছরে চীন ব্যবসা বাণিজ্যের পরিবেশ তৈরি করে দেওয়ার নজির স্থাপন করেছে। বাজারের ধরন ও চাহিদার আলোকে কোম্পানিটির ব্যবসাও সম্প্রসারণ হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, চীনকে সঙ্গে নিয়েই চীনে ব্যবসার পরিসর আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা করছেন তিনি।
বাজার ও গ্রাহকদের নানা তথ্য প্রদানকারী সংস্থা স্ট্যাটিস্টার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ২০২২ সালেও সারা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বড় গাড়ির বাজার ছিলো চীন। এই বাজারে চাহিদা আছে ইউরোপীয় ও মার্কিন বেশ কিছু কোম্পানির তৈরি গাড়ি। মার্সিডিজ বেঞ্জ জানায়, চীনের ক্রমবর্ধমান বাজারের সুবিধা কাজে লাগানে নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে আগামী এক দশকে চীনের বাজারে সেরা বিক্রেতা ও সরবরাহকারী হিসেবে বিনিয়োগসহ নানা কর্মসূচি নিয়ে আসবে মার্সিডিজ বেঞ্জ।
গেল বছরও চীনের বাজারে সাড়ে ৭ লাখ যাত্রীবাহী গাড়ি বিক্রি করেছে জানিয়ে প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, আগামী বছরগুলোতে গাড়ি বিক্রির সংখ্যা আরও বাড়বে।
চীনা গ্রাহকদের প্রয়োজন ও চাহিদা মাথায় রেখে নতুন যুগের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ গাড়ির ডিজাইন বাজারে আনার ব্যাপারে কাজ করছে কোম্পানিটির গবেষণা ও উন্নয়ণ বিভাগের কর্মীরা। বিশেষ করে সারা বিশ্বের বাজার ও কোম্পানিটির নেটওয়ার্কের সঙ্গে চীনা অংশের রয়েছে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ।
জার্মানিতে অবস্থিত সদর দফতরের পরই গাড়ি নির্মাণ ও বাজারজাতকরণের ক্ষেত্রে কোম্পানিটি চীনকে সেকেন্ড হোম বিবেচনা করে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
২০ থেকে ৩০ বছর আগের চীন আর এখনকার চীন এক নয় মন্তব্য করে কোম্পানিটি বলছে, ব্যবসার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় চীন এখন অনেক উন্নত এবং ক্রমাগত উন্মুক্তকরণ প্রক্রিয়া এগিয়ে নিচ্ছে। বিশেষ করে প্রযুক্তি ও উৎপাদনের হাবে পরিণত হয়েছে চীন। বর্তমানে চীনে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ উৎসাহিত করা হচ্ছে, নতুন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ব্যবসার পরিবেশ উন্নত করা হচ্ছে।