চলতি বাণিজ্যের ১৩ম পর্ব
“এ বছর এরইমধ্যে বেশ বড়সড় ক্রয়াদেশ আমরা পেয়েছি। এসব ক্রয়াদেশ পালন করতে আমাদের ২০টিরও বেশি উৎপাদন লাইনে কাজ চলছে এবং এ বছরের শেষ নাগাদ পণ্য পৌঁছে দিতে হবে। চলতি মার্চের মধ্যে আমরা আশা করছি ১০০ সেট উইন্ড টার্বাইন উৎপাদন করতে পারবো। আর চলতি বছরের মধ্যে মোট ১২শ’ সেট উৎপাদন করতে সক্ষম হবো।“
এখানকার কোম্পানিতে উৎপাদিত ইউন্ড টার্বাইনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো এর বিশাল আকার। একেকেটি টার্বাইনের উচ্চতা হয় ৯০ মিটারের বেশি আর প্রতিটির ওজনও ২৫ টনের মতো। ফলে অনশোর ও অফশোর উভয় ধরনের উৎপাদন কাজেই এগুলো ব্যবহার করা যায়। স্থানীয় একটি কোম্পানির ভাইস চেয়ারম্যান ছু পিন বলছেন, চাহিদা বাড়তে থাকায় চীনের বাইরেও কারখানা স্থাপনের পরিকল্পনা করছেন তারা।
ছু পিন, ভাইস চেয়ারম্যান, উইন্ড টার্বাইন ম্যানুফ্যাক্চারিং কোম্পানি ইন সুছৌ
“আমরা সামনে চিয়াংসু, কুয়াংতোং ও ফুচিয়ানে কার্যক্রম শুরু করবো। বৈশ্বিক এই চাহিদা পূরণ করতে দেশের বাইরে বিশেষ করে জার্মানি, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া ও দক্ষিণ আমেরিকায় উৎপাদন কারখানা স্থাপনের কথা ভাবছি।“
এদিকে, চীনের বিদ্যুতের চাহিদা পূরণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বায়ুবিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো। ফলে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক রেখে কার্যক্রমে জোরদার করেছে তারা। স্থানীয় বিদ্যুৎ কেন্দ্র কুয়োশেং সিকিউরিটিজের বিশ্লেষক ইয়াং রুনসি বলছেন, বিশেষ করে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানো ও সরবরাহ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোকে ঝামেলাবিহীন করার দিতে গুরুত্ব দিচ্ছেন তারা।
ইয়াং রুনসি, প্রধান বিশ্লেষক, কুয়োশেং সিকিউরিটিজ